۞ يٰبَنِيْٓ اٰدَمَ خُذُوْا زِيْنَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْاۚ اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ ࣖ ( الأعراف: ٣١ )
হে আদাম সন্তান! প্রত্যেক সলাতের সময় তোমরা সাজসজ্জা গ্রহণ কর, আর খাও, পান কর কিন্তু অপচয় করো না, অবশ্যই তিনি অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِيْنَةَ اللّٰهِ الَّتِيْٓ اَخْرَجَ لِعِبَادِهٖ وَالطَّيِّبٰتِ مِنَ الرِّزْقِۗ قُلْ هِيَ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَّوْمَ الْقِيٰمَةِۗ كَذٰلِكَ نُفَصِّلُ الْاٰيٰتِ لِقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ ( الأعراف: ٣٢ )
বল, ‘যে সব সৌন্দর্য-শোভামন্ডিত বস্তু ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কে তা হারাম করল’? বল, ‘সে সব হচ্ছে ঈমানদারদের জন্য দুনিয়ার জীবনে বিশেষতঃ ক্বিয়ামাতের দিনে। এভাবে আমি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করি।’
قُلْ اِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْاِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَاَنْ تُشْرِكُوْا بِاللّٰهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهٖ سُلْطٰنًا وَّاَنْ تَقُوْلُوْا عَلَى اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ ( الأعراف: ٣٣ )
বল, ‘আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, পাপ, অন্যায়, বিরোধিতা, আল্লাহর অংশীদার স্থির করা যে ব্যাপারে তিনি কোন প্রমাণ নাযিল করেননি, আর আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদের অজ্ঞতাপ্রসূত কথাবার্তা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।
وَلِكُلِّ اُمَّةٍ اَجَلٌۚ فَاِذَا جَاۤءَ اَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُوْنَ سَاعَةً وَّلَا يَسْتَقْدِمُوْنَ ( الأعراف: ٣٤ )
প্রতিটি জাতির জন্য সময় নির্ধারিত আছে। তাদের নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে তখন এক মুহূর্তকাল পশ্চাৎ-অগ্র হবে না।
يٰبَنِيْٓ اٰدَمَ اِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ رُسُلٌ مِّنْكُمْ يَقُصُّوْنَ عَلَيْكُمْ اٰيٰتِيْۙ فَمَنِ اتَّقٰى وَاَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ ( الأعراف: ٣٥ )
হে আদাম সন্তান! তোমাদের কাছে তোমাদেরই মধ্যে থেকে যখন রসূলগণ আসে যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াতগুলোকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে, তখন যারা তাকওয়া অবলম্বন করে আর নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়, তাদের কোন ভয় নেই, তারা চিন্তিত হবে না।
وَالَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَا وَاسْتَكْبَرُوْا عَنْهَآ اُولٰۤىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِۚ هُمْ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ ( الأعراف: ٣٦ )
আর যারা আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করবে আর সেগুলোর ব্যাপারে ঔদ্ধত্য দেখাবে, তারাই হল জাহান্নামের বাসিন্দা, তাতে তারা চিরকাল থাকবে।
فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰى عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِاٰيٰتِهٖۗ اُولٰۤىِٕكَ يَنَالُهُمْ نَصِيْبُهُمْ مِّنَ الْكِتٰبِۗ حَتّٰٓى اِذَا جَاۤءَتْهُمْ رُسُلُنَا يَتَوَفَّوْنَهُمْۙ قَالُوْٓا اَيْنَ مَا كُنْتُمْ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗقَالُوْا ضَلُّوْا عَنَّا وَشَهِدُوْا عَلٰٓى اَنْفُسِهِمْ اَنَّهُمْ كَانُوْا كٰفِرِيْنَ ( الأعراف: ٣٧ )
তাত্থেকে বড় যালিম আর কে আছে যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে রচনা করে অথবা তাঁর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে? কিতাবে লিখিত (দুনিয়াতে তাদের জন্য) নির্দিষ্ট অংশ তাদের কাছে পৌঁছবে, যে পর্যন্ত না আমার প্রেরিত ফেরেশতা তাদের জান কবজ করার জন্য তাদের কাছে আসবে। তারা (অর্থাৎ ফেরেশতারা) জিজ্ঞেস করবে, ‘আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তোমরা আহবান করতে তারা কোথায়’? তারা বলবে, ‘তারা আমাদের থেকে উধাও হয়ে গেছে’ আর তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে যে তারা কাফির ছিল।
قَالَ ادْخُلُوْا فِيْٓ اُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِكُمْ مِّنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ فِى النَّارِۙ كُلَّمَا دَخَلَتْ اُمَّةٌ لَّعَنَتْ اُخْتَهَا ۗحَتّٰٓى اِذَا ادَّارَكُوْا فِيْهَا جَمِيْعًا ۙقَالَتْ اُخْرٰىهُمْ لِاُوْلٰىهُمْ رَبَّنَا هٰٓؤُلَاۤءِ اَضَلُّوْنَا فَاٰتِهِمْ عَذَابًا ضِعْفًا مِّنَ النَّارِ ەۗ قَالَ لِكُلٍّ ضِعْفٌ وَّلٰكِنْ لَّا تَعْلَمُوْنَ ( الأعراف: ٣٨ )
আল্লাহ বলবেন, ‘তোমাদের আগে জ্বিন ও মানুষের মধ্যে যারা জাহান্নামে প্রবেশ করেছে, তাদের মাঝে প্রবেশ কর।’ যখনই একটি দল প্রবেশ করবে, তখন তারা অন্যদলকে অভিসম্পাত করবে। অবশেষে সবাই যখন তার ভিতর একত্রিত হবে, তখন প্রত্যেকটি পরবর্তী দল আগের দল সম্পর্কে বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! ওরাই আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে, কাজেই ওদেরকে আগুনে দ্বিগুণ শাস্তি দাও।’ আল্লাহ বলবেন, ‘প্রত্যেকের শাস্তি দ্বিগুণ করা হয়েছে (নিজেরা পথভ্রষ্ট হওয়ার জন্য এবং অন্যদের পথভ্রষ্ট করার জন্য) কিন্তু তোমরা জান না।’
وَقَالَتْ اُوْلٰىهُمْ لِاُخْرٰىهُمْ فَمَا كَانَ لَكُمْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلٍ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْسِبُوْنَ ࣖ ( الأعراف: ٣٩ )
তাদের পূর্ববর্তী দল (আগের জেনারেশন) পরবর্তী দলকে (পরের জেনারেশনকে) বলবে, ‘আমাদের চেয়ে তোমাদের বেশি কোন মর্যাদা নেই, কাজেই তোমাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তিও স্বাদ গ্রহণ কর।’
اِنَّ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَا وَاسْتَكْبَرُوْا عَنْهَا لَا تُفَتَّحُ لَهُمْ اَبْوَابُ السَّمَاۤءِ وَلَا يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ حَتّٰى يَلِجَ الْجَمَلُ فِيْ سَمِّ الْخِيَاطِ ۗ وَكَذٰلِكَ نَجْزِى الْمُجْرِمِيْنَ ( الأعراف: ٤٠ )
যারা আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে আর এ ব্যাপারে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে তাদের জন্য আকাশের দরজাগুলো উন্মুক্ত হবে না আর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না-যতক্ষণ না সূঁচের ছিদ্রে উট প্রবেশ করে। এভাবেই আমি অপরাধীদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকি।