সে বলল, ‘তোমাদের উপর তোমাদের প্রতিপালকের অসন্তোষ ও ক্রোধ নেমে এসেছে। তাহলে তোমরা কি আমার সঙ্গে এমন কতকগুলো নাম সম্পর্কে বিতর্ক করছ যেগুলোর নামকরণ তোমরা আর তোমাদের বাপ-দাদারাই করেছে যে সম্পর্কে আল্লাহ কোন প্রমাণ নাযিল করেননি? তাহলে তোমরা অপেক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে অপেক্ষমান থাকলাম।’
আমার করুণায় আমি তাকে ও তার সঙ্গী-সাথীদেরকে রক্ষা করলাম আর আমার নিদর্শনাবলীকে যারা অস্বীকার করেছিল এবং ঈমান আনেনি তাদের মূল উৎপাটন করলাম।
আমি সামুদ জাতির কাছে তাদের ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। এটি হল আল্লাহর উটনী, তোমাদের জন্য নিদর্শন, তাকে আল্লাহর যমীনে চরে খেতে দাও, মন্দ উদ্দেশ্যে একে স্পর্শ করবে না, করলে পীড়াদায়ক শাস্তি তোমাদেরকে গ্রাস করবে।
স্মরণ কর, ‘আদ জাতির পরে তিনি তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন আর তোমাদেরকে যমীনে বসতি দান করেছেন, তোমরা তার সমতলে প্রাসাদ নির্মাণ করছ আর পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করছ, কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি কর না।
তার জাতির গর্বিত প্রধানগণ ঐসব লোকদেরকে বলেছিল যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, যারা তাদের মধ্যে ঈমান এনেছিল- ‘‘তোমরা কি জান যে সালিহ তার প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত? তারা বলেছিল, ‘তিনি যে বাণী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তাতে আমরা বিশ্বাসী’।
যারা অহঙ্কার করেছিল তারা বলেছিল, ‘তোমরা যাতে বিশ্বাস করেছ আমরা তা অস্বীকার করছি।’
অতঃপর তারা উষ্ট্রীটিকে মেরে ফেলল এবং তাদের প্রতিপালকের স্পষ্ট বিরোধিতা করে চলল আর বলল, ‘হে সালিহ! তুমি যদি রসূল হয়েই থাক তাহলে তা নিয়ে এসো আমাদেরকে যার ওয়াদা করছ (ভয় দেখাচ্ছ)।’
অতঃপর ভূমিকম্প তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করল আর তারা তাদের ঘরগুলোতে মুখ থুবড়ে পড়ে রইল।
আর সালিহ এ কথা বলে তাদেরকে পরিত্যাগ করল যে, হে আমার সম্প্রদায়! ‘আমি তোমাদের কাছে আমার প্রতিপালকের বাণী পৌঁছে দিয়েছি, আর তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি কিন্তু সদুপদেশ দানকারীদেরকে তোমরা পছন্দ কর না।’
আর আমি লূতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল, ‘তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ যা বিশ্বজগতে তোমাদের পূর্বে কোন একজনও করেনি।’