‘‘এখন (ঈমান আনছ), আগে তো অমান্য করেছ আর ফাসাদকারীদের অন্তর্ভুক্ত থেকেছ।
আজ আমি তোমার দেহকে রক্ষা করব যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পার।’ অধিকাংশ মানুষই আমার নিদর্শনাবলী সম্পর্কে নিশ্চিতই উদাসীন।’’
আমি বানী ইসরাঈলকে মর্যাদাপূর্ণ আবাসস্থলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম আর তাদেরকে উত্তম রিযক দিয়েছিলাম। অতঃপর তাদের কাছে (আল্লাহর প্রেরিত) সঠিক জ্ঞান আসার পূর্ব পর্যন্ত তারা মতভেদ করেনি। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করেছিল কিয়ামাত দিবসে তোমার প্রতিপালক অবশ্যই তা মীমাংসা করে দিবেন।
আমি তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে যদি তুমি সন্দেহ পোষণ কর তাহলে তোমার পূর্বে থেকে যারা কিতাব পাঠ করে আসছে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর। তোমার কাছে তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে প্রকৃত সত্য এসেছে। কাজেই তুমি কক্ষনো সন্দেহ পোষণকারীদের মধ্যে শামিল হয়ো না।
আর তুমি কক্ষনো তাদের মধ্যে শামিল হয়ো না যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যে জেনে অমান্য করে, তাহলে তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
তাদের সম্পর্কে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা ঈমান আনবে না,
এমনকি তাদের কাছে প্রত্যেকটি নিদর্শন আসলেও- যে পর্যন্ত না তারা ভয়াবহ শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।
এমন কোন জনপদের দৃষ্টান্ত আছে কি যে তারা (শাস্তি দেখার পর) ঈমান আনল আর তাদের ঈমান উপকারে আসল- একমাত্র ইউনুসের সম্প্রদায় ছাড়া? তারা যখন ঈমান আনল, তখন আমি দুনিয়ার জীবনে তাদের থেকে হীনতাব্যঞ্জক ‘আযাব সরিয়ে দিলাম, আর একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত তাদেরকে জীবন উপভোগ করার সুযোগ দিলাম।
তোমার প্রতিপালক ইচ্ছে করলে দুনিয়ার সমস্ত লোক অবশ্যই ঈমান আনত, তাহলে কি তুমি ঈমান আনার জন্য মানুষদের উপর জবরদস্তি করবে?
আল্লাহর অনুমতি ব্যতিরেকে কেউ ঈমান আনতে পারবে না, আর যারা বিবেক বুদ্ধি খাটায় না, আল্লাহ তাদের উপর গুমরাহী চাপিয়ে দেন।