وَالَّذِيْٓ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ مِنَ الْكِتٰبِ هُوَ الْحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِۗ اِنَّ اللّٰهَ بِعِبَادِهٖ لَخَبِيْرٌۢ بَصِيْرٌ ( فاطر: ٣١ )
আমি যে কিতাবটি হতে তোমার প্রতি ওয়াহী করেছি তা সত্য, পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী। আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের সম্পর্কে অবশ্যই সব খবর রাখেন এবং সব দেখেন।
ثُمَّ اَوْرَثْنَا الْكِتٰبَ الَّذِيْنَ اصْطَفَيْنَا مِنْ عِبَادِنَاۚ فَمِنْهُمْ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ ۚوَمِنْهُمْ مُّقْتَصِدٌ ۚوَمِنْهُمْ سَابِقٌۢ بِالْخَيْرٰتِ بِاِذْنِ اللّٰهِ ۗذٰلِكَ هُوَ الْفَضْلُ الْكَبِيْرُۗ ( فاطر: ٣٢ )
অতঃপর সেই কিতাবটির উত্তরাধিকারী করেছি আমি আমার বান্দাহদের মধ্যে হতে যাদেরকে বেছে নিয়েছি। অতঃপর তাদের কতক নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছে, আর কতক মধ্যপন্থী। তাদের কতক আল্লাহর নির্দেশে সৎ কাজে অগ্রণী। এটাই (মানুষের প্রতি আল্লাহর) খুবই বড় দয়া।
جَنّٰتُ عَدْنٍ يَّدْخُلُوْنَهَا يُحَلَّوْنَ فِيْهَا مِنْ اَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَّلُؤْلُؤًا ۚوَلِبَاسُهُمْ فِيْهَا حَرِيْرٌ ( فاطر: ٣٣ )
স্থায়ী জান্নাতে তারা প্রবেশ করবে। যেখানে তাদেরকে স্বর্ণ ও মুক্তার কঙ্কণে অলঙ্কৃত করা হবে। যেখানে তাদের পোশাক হবে রেশমের।
وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْٓ اَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَۗ اِنَّ رَبَّنَا لَغَفُوْرٌ شَكُوْرٌۙ ( فاطر: ٣٤ )
আর তারা বলবে- যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। আমাদের প্রতিপালক অবশ্যই পরম ক্ষমাশীল, (ভাল কাজের) বড়ই মর্যাদাদানকারী।
ۨالَّذِيْٓ اَحَلَّنَا دَارَ الْمُقَامَةِ مِنْ فَضْلِهٖۚ لَا يَمَسُّنَا فِيْهَا نَصَبٌ وَّلَا يَمَسُّنَا فِيْهَا لُغُوْبٌ ( فاطر: ٣٥ )
যিনি স্বীয় অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দান করেছেন। সেখানে ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না, ক্লান্তিও আমাদেরকে স্পর্শ করে না।
وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَهُمْ نَارُ جَهَنَّمَۚ لَا يُقْضٰى عَلَيْهِمْ فَيَمُوْتُوْا وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ مِّنْ عَذَابِهَاۗ كَذٰلِكَ نَجْزِيْ كُلَّ كَفُوْرٍ ۚ ( فاطر: ٣٦ )
আর যারা কুফুরী করে, তাদের জন্য আছে জাহান্নামের আগুন। তাদের জন্য কোন সময় নির্ধারণ করা হবে না যে, তারা (নির্ধারিত সময় আসলে) মরে যাবে, আর তাদের থেকে শাস্তিও কমানো হবে না। প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।
وَهُمْ يَصْطَرِخُوْنَ فِيْهَاۚ رَبَّنَآ اَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِيْ كُنَّا نَعْمَلُۗ اَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَّا يَتَذَكَّرُ فِيْهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَاۤءَكُمُ النَّذِيْرُۗ فَذُوْقُوْا فَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ نَّصِيْرٍ ( فاطر: ٣٧ )
সেখানে তারা চিৎকার করে বলবে- হে আমাদের পালনকর্তা! বের করুন আমাদেরকে, আমরা সৎকাজ করব, আমরা যে কাজ করতাম তা করব না। আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি যে, তখন কেউ নসীহত গ্রহণ করতে চাইলে নসীহত গ্রহণ করতে পারতে? আর তোমাদের কাছে সতর্ককারীও এসেছিল। কাজেই শাস্তি ভোগ কর, যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
اِنَّ اللّٰهَ عَالِمُ غَيْبِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ اِنَّهٗ عَلِيْمٌ ۢبِذَاتِ الصُّدُوْرِ ( فاطر: ٣٨ )
আল্লাহ আসমান যমীনের অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে অবগত। অন্তরে যা আছে সে সম্পর্কে তিনি বিশেষভাবে জ্ঞাত।
هُوَ الَّذِيْ جَعَلَكُمْ خَلٰۤىِٕفَ فِى الْاَرْضِۗ فَمَنْ كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهٗۗ وَلَا يَزِيْدُ الْكٰفِرِيْنَ كُفْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ اِلَّا مَقْتًا ۚوَلَا يَزِيْدُ الْكٰفِرِيْنَ كُفْرُهُمْ اِلَّا خَسَارًا ( فاطر: ٣٩ )
তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে (নিজের) প্রতিনিধি করেছেন। অতএব যে কুফুরী করবে তার কুফুরীর জন্য সে নিজেই দায়ী হবে। কাফিরদের কুফর তাদের প্রতিপালকের ঘৃণাই বৃদ্ধি করে। কাফিরদের কুফর তাদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
قُلْ اَرَاَيْتُمْ شُرَكَاۤءَكُمُ الَّذِيْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗاَرُوْنِيْ مَاذَا خَلَقُوْا مِنَ الْاَرْضِ اَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِى السَّمٰوٰتِۚ اَمْ اٰتَيْنٰهُمْ كِتٰبًا فَهُمْ عَلٰى بَيِّنَتٍ مِّنْهُۚ بَلْ اِنْ يَّعِدُ الظّٰلِمُوْنَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا اِلَّا غُرُوْرًا ( فاطر: ٤٠ )
বল- তোমরা কি তোমাদের শরীকদেরকে দেখেছ আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডেকে থাক? তারা পৃথিবীতে কী সৃষ্টি করেছে তা আমাকে দেখাও; কিংবা আকাশমন্ডলীতে তাদের কোন শরীকানা আছে কি? কিংবা আমি কি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি যাত্থেকে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর তারা আছে? বরং সীমালঙ্ঘনকারীরা একে অপরকে প্রতারণামূলক ওয়া‘দা দিয়ে থাকে।