আমি যদি তোমাকে (দুনিয়া থেকে) নিয়েও যাই, তবু আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।
অথবা আমি তাদেরকে যে ‘আযাবের ও‘য়াদা দিয়েছি তা যদি তোমাকে দেখিয়ে দেই (আমার পক্ষে সবই সম্ভব), কারণ তাদের উপর আমার পূর্ণ ক্ষমতা আছে।
কাজেই তোমার প্রতি যা ওয়াহী করা হয় তুমি তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর, কেননা তুমি তো আছ সরল সঠিক পথে।
কুরআন হল অবশ্যই তোমার জন্য আর তোমার জাতির জন্য উপদেশ বাণী। আর এ সম্পর্কে অচিরেই তোমাদেরকে জওয়াবদিহি করতে হবে।
আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞেস কর (অর্থাৎ তাদের কিতাব দেখ ও তাদের সত্যিকার অনুসারীদের নিকট যাচাই কর) আমি কি দয়াময় আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ স্থির করেছিলাম যাদের ‘ইবাদাত করতে হবে?
আমি মূসাকে আমার নিদর্শনসহ ফেরাউন ও তার প্রধানদের নিকট পাঠিয়েছিলাম। মূসা (আ.) বলেছিল- আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালকের রসূল।
যখন সে আমার আয়াতসমূহ নিয়ে তাদের কাছে আসলো, তখন তারা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগল।
আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই দেখাতাম তা হত পূর্ববর্তী নিদর্শন থেকে বড়। আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম যাতে তারা (আমার পথে) ফিরে আসে।
(শাস্তিতে আক্রান্ত হয়ে) তারা বলেছিল- ওহে যাদুকর! তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালকের কাছে তা চাও যার ও‘য়াদা তিনি তোমার কাছে করেছেন। আমরা অবশ্যই সৎপথে চলব।
কিন্তু যখনই আমি তাদের থেকে শাস্তি সরিয়ে দিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বসল।