اُولٰۤىِٕكَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْٓا اَنْفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ ( هود: ٢١ )
এরা সেই লোক যারা নিজেদেরকে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, আর তারা যা কিছু রচনা করেছিল তা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে।
لَاجَرَمَ اَنَّهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ هُمُ الْاَخْسَرُوْنَ ( هود: ٢٢ )
এতে কোন সন্দেহ নেই যে আখেরাতে এরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।
اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَاَخْبَتُوْٓا اِلٰى رَبِّهِمْۙ اُولٰۤىِٕكَ اَصْحٰبُ الْجَنَّةِۚ هُمْ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ ( هود: ٢٣ )
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে আর তাদের রবেবর কাছে বিনীত, তারাই জান্নাতের অধিবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
۞ مَثَلُ الْفَرِيْقَيْنِ كَالْاَعْمٰى وَالْاَصَمِّ وَالْبَصِيْرِ وَالسَّمِيْعِۗ هَلْ يَسْتَوِيٰنِ مَثَلًا ۗ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ࣖ ( هود: ٢٤ )
দু’শ্রেণীর লোকের দৃষ্টান্ত হল যেমন একজন হল অন্ধ ও বধির, অন্যজন চক্ষুষ্মান ও শ্রবণশীল, এ দু’জন কি তুলনায় সমান হতে পারে? এরপরও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না।
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰى قَوْمِهٖٓ اِنِّيْ لَكُمْ نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ ۙ ( هود: ٢٥ )
আমি নূহকে তার কাওমের কাছে পাঠিয়েছিলাম। (সে বলেছিল) আমি তোমাদের জন্য একজন স্পষ্ট সতর্ককারী,
اَنْ لَّا تَعْبُدُوْٓا اِلَّا اللّٰهَ ۖاِنِّيْٓ اَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ اَلِيْمٍ ( هود: ٢٦ )
যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না, অন্যথায় আমি আশঙ্কা করছি যে, তোমাদের উপর একদিন বেদনাদায়ক ‘আযাব আসবে।
فَقَالَ الْمَلَاُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ مَا نَرٰىكَ اِلَّا بَشَرًا مِّثْلَنَا وَمَا نَرٰىكَ اتَّبَعَكَ اِلَّا الَّذِيْنَ هُمْ اَرَاذِلُنَا بَادِيَ الرَّأْيِۚ وَمَا نَرٰى لَكُمْ عَلَيْنَا مِنْ فَضْلٍۢ بَلْ نَظُنُّكُمْ كٰذِبِيْنَ ( هود: ٢٧ )
জওয়াবে তার জাতির প্রধানগণ- যারা অবিশ্বাসী ছিল তারা বলল, ‘আমরা তোমাকে আমাদের মত মানুষ ছাড়া অন্য কিছু দেখছি না, আর প্রকাশ্যতঃ আমাদের হীন অধম লোকগুলো ছাড়া তোমার পথ অবলম্বন করতে দেখছি না, আমাদের উপর তোমার কোন প্রাধান্যও দেখছি না, বরং আমরা তোমাদেরক মিথ্যুক বলেই মনে করি।’
قَالَ يٰقَوْمِ اَرَءَيْتُمْ اِنْ كُنْتُ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّيْ وَاٰتٰىنِيْ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِهٖ فَعُمِّيَتْ عَلَيْكُمْۗ اَنُلْزِمُكُمُوْهَا وَاَنْتُمْ لَهَا كٰرِهُوْنَ ( هود: ٢٨ )
সে বলল, ‘‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখ, আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট হতে প্রাপ্ত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকি আর তিনি তাঁর পক্ষ থেকে আমাকে অনুগ্রহ প্রদান করে থাকেন যা তোমাদের দৃষ্টি থেকে গোপনে রাখা হয়েছে, এমতাবস্থায় তা গ্রহণ করার ব্যাপারে আমি কি তোমাদেরকে বাধ্য করতে পারি যখন তোমরা তা অপছন্দ কর?
وَيٰقَوْمِ لَآ اَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مَالًاۗ اِنْ اَجْرِيَ اِلَّا عَلَى اللّٰهِ وَمَآ اَنَا۠ بِطَارِدِ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۗ اِنَّهُمْ مُّلٰقُوْا رَبِّهِمْ وَلٰكِنِّيْٓ اَرٰىكُمْ قَوْمًا تَجْهَلُوْنَ ( هود: ٢٩ )
হে আমার জাতির লোকেরা! আমি এ কাজে তোমাদের কাছে কোন ধন-সম্পদ চাই না, আমার পারিশ্রমিক আছে কেবল আল্লাহর কাছে। আর মু’মিনদের তাড়িয়ে দেয়া আমার জন্য শোভনীয় নয়, তারা তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ অবশ্যই লাভ করবে, কিন্তু আমি দেখছি তোমরা এমন এক জাতি যারা মূর্খের আচরণ করছ।
وَيٰقَوْمِ مَنْ يَّنْصُرُنِيْ مِنَ اللّٰهِ اِنْ طَرَدْتُّهُمْ ۗ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ ( هود: ٣٠ )
হে আমার জাতির লোকেরা! আমি যদি এই লোকদেরকে তাড়িয়ে দেই তাহলে আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে কে বাঁচাবে? তবুও কি তোমরা উপদেশ নিবে না?