قَالَ مَا خَطْبُكُنَّ اِذْ رَاوَدْتُّنَّ يُوْسُفَ عَنْ نَّفْسِهٖۗ قُلْنَ حَاشَ لِلّٰهِ مَا عَلِمْنَا عَلَيْهِ مِنْ سُوْۤءٍ ۗقَالَتِ امْرَاَتُ الْعَزِيْزِ الْـٰٔنَ حَصْحَصَ الْحَقُّۖ اَنَا۠ رَاوَدْتُّهٗ عَنْ نَّفْسِهٖ وَاِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِيْنَ ( يوسف: ٥١ )
রাজা মহিলাদের জিজ্ঞেস করল- ‘তোমরা যখন ইউসুফকে ভুলাতে চেষ্টা করেছিলে তখন তোমাদের কী হয়েছিল?’ তারা বলল, ‘আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন! আমরা তার মাঝে কোন দোষ দেখতে পাইনি।’ আযীযের স্ত্রী বলল, ‘এখন সত্য প্রকাশিত হয়ে পড়েছে, আমিই তাকে ভুলাতে চেষ্টা করেছিলাম, নিশ্চয়ই সে ছিল সত্যবাদী।’
ذٰلِكَ لِيَعْلَمَ اَنِّيْ لَمْ اَخُنْهُ بِالْغَيْبِ وَاَنَّ اللّٰهَ لَا يَهْدِيْ كَيْدَ الْخَاۤىِٕنِيْنَ ۔ ( يوسف: ٥٢ )
(ইউসুফ বলল) ‘আমার উদ্দেশ্য এই যে, সে (অর্থাৎ আযীয) যেন জানতে পারে যে, তার অনুপস্থিতিতে আমি তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিনি আর আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের কৌশলকে অবশ্যই সফল হতে দেন না।’
۞ وَمَآ اُبَرِّئُ نَفْسِيْۚ اِنَّ النَّفْسَ لَاَمَّارَةٌ ۢ بِالسُّوْۤءِ اِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّيْۗ اِنَّ رَبِّيْ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ( يوسف: ٥٣ )
(সে বলল), ‘আমি নিজেকে দোষমুক্ত মনে করি না, নফস্ তো মন্দ কাজে প্ররোচিত করতেই থাকে, আমার প্রতিপালক যার প্রতি দয়া করেন সে ছাড়া। আমার প্রতিপালক বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’
وَقَالَ الْمَلِكُ ائْتُوْنِيْ بِهٖٓ اَسْتَخْلِصْهُ لِنَفْسِيْۚ فَلَمَّا كَلَّمَهٗ قَالَ اِنَّكَ الْيَوْمَ لَدَيْنَا مَكِيْنٌ اَمِيْنٌ ( يوسف: ٥٤ )
রাজা বললেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি তাকে আমার জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করে নেব।’ অতঃপর সে (ইউসুফ) যখন তার সাথে কথা বলল, তখন রাজা বলল, ‘আজ তুমি আমাদের কাছে খুবই মর্যাদাশীল ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিগণিত।’
قَالَ اجْعَلْنِيْ عَلٰى خَزَاۤىِٕنِ الْاَرْضِۚ اِنِّيْ حَفِيْظٌ عَلِيْمٌ ( يوسف: ٥٥ )
সে (ইউসুফ) বলল- ‘আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারের দায়িত্ব দিন, আমি উত্তম রক্ষক ও যথেষ্ট জ্ঞানের অধিকারী।’
وَكَذٰلِكَ مَكَّنَّا لِيُوْسُفَ فِى الْاَرْضِ يَتَبَوَّاُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاۤءُۗ نُصِيْبُ بِرَحْمَتِنَا مَنْ نَّشَاۤءُ وَلَا نُضِيْعُ اَجْرَ الْمُحْسِنِيْنَ ( يوسف: ٥٦ )
এভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম। দেশের যেখানে ইচ্ছে সে নিজের স্থান করে নিতে পারত, আমি যাকে চাই আমার রহমাত দিয়ে ধন্য করি, আমি সৎকর্মশীলদের কর্মফল কক্ষনো বিনষ্ট করি না।
وَلَاَجْرُ الْاٰخِرَةِ خَيْرٌ لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ ࣖ ( يوسف: ٥٧ )
আর আখেরাতের কর্মফল তাদের জন্য অবশ্যই উত্তম যারা ঈমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে কাজ করতে থাকে।
وَجَاۤءَ اِخْوَةُ يُوْسُفَ فَدَخَلُوْا عَلَيْهِ فَعَرَفَهُمْ وَهُمْ لَهٗ مُنْكِرُوْنَ ( يوسف: ٥٨ )
ইউসুফের ভাইয়েরা আসল এবং তার কাছে হাযির হল। সে তাদেরকে চিনতে পারল, কিন্তু তারা তাকে চিনতে পারল না।
وَلَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ قَالَ ائْتُوْنِيْ بِاَخٍ لَّكُمْ مِّنْ اَبِيْكُمْ ۚ اَلَا تَرَوْنَ اَنِّيْٓ اُوْفِى الْكَيْلَ وَاَنَا۠ خَيْرُ الْمُنْزِلِيْنَ ( يوسف: ٥٩ )
সে যখন তাদের দ্রব্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিল তখন সে বলল, ‘তোমরা তোমাদের সৎ ভাইকে আমার কাছে নিয়ে আসবে, তোমরা কি দেখছ না, আমি কীভাবে পাত্র ভরে দেই, আর আমি উত্তম অতিথি সেবক।
فَاِنْ لَّمْ تَأْتُوْنِيْ بِهٖ فَلَا كَيْلَ لَكُمْ عِنْدِيْ وَلَا تَقْرَبُوْنِ ( يوسف: ٦٠ )
তোমরা যদি তাকে না নিয়ে আসো তাহলে আমার কাছে তোমাদের জন্য কোন শস্য বরাদ্দ হবে না, আর আমার কাছেও আসতে পারবে না।’