(এরা হল) যাদেরকে আমি যমীনে প্রতিষ্ঠিত করলে তারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত প্রদান করে, সৎ কাজের আদেশ দেয় ও মন্দ কাজে নিষেধ করে, সকল কাজের শেষ পরিণাম (ও সিদ্ধান্ত) আল্লাহর হাতে নিবদ্ধ।
লোকেরা যদি তোমাকে অস্বীকার করে তাহলে (জেনে রেখ এটা কোন নতুন ব্যাপার নয়) তাদের পূর্বে নূহ, ‘আদ ও সামূদ সম্প্রদায়ও (তাদের রসূলদের) অস্বীকার করেছিল।
আর ইবরাহীমের সম্প্রদায় ও লূতের সম্প্রদায়ও (অস্বীকার করেছিল)।
আর মাদইয়ানবাসীরাও [অস্বীকার করেছিল যারা ছিল শু‘আয়ব (আঃ)-এর সম্প্রদায়], আর মূসাকেও অস্বীকার করা হয়েছিল। আমি অস্বীকারকারীদেরকে সময়- সুযোগ দিয়েছিলাম, অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। কত ভীষণ ছিল আমাকে অস্বীকার করার পরিণতি!
আমি কত জনবসতিকে ধ্বংস করেছি যেগুলোর অধিবাসীরা ছিল যালিম, সেগুলো ছাদের ভরে পতিত হয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল, বিরাণ হয়েছিল কত কূপ আর সুউচ্চ সুদৃঢ় প্রাসাদরাজি।
তারা কি যমীনে ভ্রমণ করে না? তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত। প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভিতর যে হৃদয় আছে তা-ই অন্ধ।
তারা তোমাকে তাড়াতাড়ি শাস্তি নিয়ে আসতে বলে (কিন্তু শাস্তি তো আসবে আল্লাহর ও‘য়াদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে), কেননা আল্লাহ কক্ষনো তাঁর ওয়া‘দা খেলাফ করেন না, তোমার প্রতিপালকের একদিন হল তোমাদের গণনায় এক হাজার বছরের সমান।
আমি কত জনপদকে সময়-সুযোগ দিয়েছি যখন তারা ছিল অন্যায় কাজে লিপ্ত। অতঃপর সেগুলোকে পাকড়াও করেছিলাম, (পালিয়ে কেউ তো কোথাও যেতে পারবে না) কেননা (সকলের) প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে।
বল, ‘হে মানুষ! আমি (প্রেরিত হয়েছি) তোমাদের জন্য এক সুস্পষ্ট সতর্ককারীরূপে।’
কাজেই যারা ঈমান আনবে আর সৎ কাজ করবে তাদের জন্য কেবল আছে ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা।