وَلَوْ شِئْنَا لَبَعَثْنَا فِيْ كُلِّ قَرْيَةٍ نَّذِيْرًا ۖ ( الفرقان: ٥١ )
আমি ইচ্ছে করলে প্রত্যেক জনবসতিতে সতর্ককারী পাঠাতাম। (কিন্তু সারা বিশ্বের জন্য একজন নবী পাঠিয়ে সকলকে একই উম্মাত হওয়ার অনুগ্রহ লাভে ধন্য করেছি)।
فَلَا تُطِعِ الْكٰفِرِيْنَ وَجَاهِدْهُمْ بِهٖ جِهَادًا كَبِيْرًا ( الفرقان: ٥٢ )
কাজেই তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না; আর কুরআনের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর- কঠোর সংগ্রাম।
۞ وَهُوَ الَّذِيْ مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَّهٰذَا مِلْحٌ اُجَاجٌۚ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَّحِجْرًا مَّحْجُوْرًا ( الفرقان: ٥٣ )
তিনিই সমুদ্রকে দু’ ধারায় প্রবাহিত করেছেন- একটি সুপেয় সুস্বাদু আরেকটি লবণাক্ত কটু, উভয়ের মাঝে টেনে দিয়েছেন এক আবরণ- এক অনতিক্রম্য বিভক্তি-প্রাচীর।
وَهُوَ الَّذِيْ خَلَقَ مِنَ الْمَاۤءِ بَشَرًا فَجَعَلَهٗ نَسَبًا وَّصِهْرًاۗ وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيْرًا ( الفرقان: ٥٤ )
তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানুষ, অতঃপর মানুষকে করেছেন বংশ সম্পর্কীয় ও বিবাহ সম্পর্কীয়, তোমার প্রতিপালক সব কিছু করতে সক্ষম।
وَيَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَنْفَعُهُمْ وَلَا يَضُرُّهُمْۗ وَكَانَ الْكَافِرُ عَلٰى رَبِّهٖ ظَهِيْرًا ( الفرقان: ٥٥ )
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর ‘ইবাদাত করে যা না পারে তাদের কোন উপকার করতে, আর না পারে কোন ক্ষতি করতে, আর কাফির হচ্ছে তার প্রতিপালকের বিরুদ্ধে সাহায্যকারী।
وَمَآ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا ( الفرقان: ٥٦ )
আমি তোমাকে পাঠিয়েছি কেবল সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে।
قُلْ مَآ اَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ اَجْرٍ اِلَّا مَنْ شَاۤءَ اَنْ يَّتَّخِذَ اِلٰى رَبِّهٖ سَبِيْلًا ( الفرقان: ٥٧ )
বল- এজন্য আমি তোমাদের কাছে এছাড়া কোন প্রতিদান চাই না যে, যার ইচ্ছে সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ অবলম্বন করুক।
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَمُوْتُ وَسَبِّحْ بِحَمْدِهٖۗ وَكَفٰى بِهٖ بِذُنُوْبِ عِبَادِهٖ خَبِيْرًا ۚ ( الفرقان: ٥٨ )
আর তুমি নির্ভর কর সেই চিরঞ্জীবের উপর যিনি মরবেন না। আর তাঁর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা কর। তিনি তাঁর বান্দাহদের গুনাহর খবর রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট।
اَلَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰى عَلَى الْعَرْشِۚ اَلرَّحْمٰنُ فَسْـَٔلْ بِهٖ خَبِيْرًا ( الفرقان: ٥٩ )
তিনি আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের ভিতরে যা আছে তা ছ’দিনে (ছ’টি সময় স্তরে) সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনিই রাহমান, কাজেই তাঁর সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস কর যে এ সম্পর্কিত জ্ঞান রাখে।
وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اسْجُدُوْا لِلرَّحْمٰنِ قَالُوْا وَمَا الرَّحْمٰنُ اَنَسْجُدُ لِمَا تَأْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُوْرًا ۩ ࣖ ( الفرقان: ٦٠ )
তাদেরকে যখন বলা হয় ‘রহমান’-এর উদ্দেশ্যে সাজদায় অবনত হও, তারা বলে- ‘রহমান আবার কী? আমাদেরকে তুমি যাকেই সেজদা করতে বলবে আমরা তাকেই সেজদা করব নাকি?’ এতে তাদের অবাধ্যতাই বেড়ে যায়। [সাজদাহ]