যারা আল্লাহর সাক্ষাতকে মিথ্যে জেনেছিল তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। এমনকি যখন কিয়ামাত হঠাৎ তাদের কাছে হাজির হবে তখন তারা বলবে, হায় আক্ষেপ! আমরা এ ব্যাপারে অবহেলা করেছিলাম। তারা তাদের পিঠে তাদের পাপের বোঝা বহন করবে। দেখ, তারা যা বহন করবে তা কতই না নিকৃষ্ট!
দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য পরকালের জীবনই অতি কল্যাণময়, তবুও কি তোমাদের বোধদয় হবে না?
তারা যা বলে তা তোমাকে কষ্ট দেয় এটা আমি অবশ্যই ভালভাবে অবগত, কেননা তারা তো তোমাকে মিথ্যে মনে করে না, প্রকৃতপক্ষে যালিমরা আল্লাহর আয়াতকেই প্রত্যাখ্যান করে।
তোমার পূর্বেও রসূলগণকে মিথ্যে মনে করা হয়েছে কিন্তু তাদেরকে মিথ্যে মনে করা এবং কষ্ট দেয়া সত্ত্বেও তারা ধৈর্যধারণ করেছে, যতক্ষণ না তাদের কাছে আমার সাহায্য এসেছে। আল্লাহর ওয়াদার পরিবর্তন হয় না, নাবীগণের কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট পৌঁছেছেই।
তাদের উপেক্ষা যদি তোমার কাছে কঠিন বলে মনে হয় তাহলে পারলে ভূগর্ভে সুড়ঙ্গের কিংবা আকাশে আরোহণের জন্য সিঁড়ির সন্ধান কর অত;পর তাদের কাছে (নতুন) নিদর্শন হাজির কর। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদের সকলকে সৎপথে একত্র করতেন। কাজেই তুমি মূর্খদের মত হয়ো না।
যারা শোনে শুধু তারাই ডাকে সাড়া দেয়। আর মৃতকে আল্লাহ আবার জীবিত করবেন; অতঃপর তাঁর দিকেই তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
তারা বলে, তার কাছে তার রবের নিকট হতে কোন নিদর্শন নাযিল হয় না কেন? বল, অবশ্যই আল্লাহ নিদর্শন অবতীর্ণ করতে সক্ষম। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোকই অবগত নয়।
ভূপৃষ্টে বিচরণশীল এমন কোন জীব নেই, আর দু’ডানা সহযোগে উড্ডয়নশীল এমন কোন পাখি নেই যারা তোমাদের মত একটি উম্মাত নয়। (লাওহে মাহ্ফুয অথবা আল-কুরআন) কিতাবে আমি কোন কিছুই বাদ দেইনি। অতঃপর তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদেরকে একত্রিত করা হবে।
যারা আমার আয়াতকে মিথ্যে জানে তারা বধির ও মুক। তারা আছে গভীর অন্ধকারে, আল্লাহ যাকে চান পথভ্রষ্ট করে দেন, আর যাকে চান সঠিক পথে স্থাপন করেন।
বল, তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের উপর যদি আল্লাহর শাস্তি এসে পড়ে কিংবা তোমাদের উপর ক্বিয়ামাত এসে যায় তাহলে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে? (বল না) তোমরা যদি সত্যবাদী হও।