قَالُوْا تَاللّٰهِ لَقَدْ اٰثَرَكَ اللّٰهُ عَلَيْنَا وَاِنْ كُنَّا لَخٰطِـِٕيْنَ ( يوسف: ٩١ )
তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম! আল্লাহ তোমাকে আমাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন, আমরাই ছিলাম অপরাধী।’
قَالَ لَا تَثْرِيْبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَۗ يَغْفِرُ اللّٰهُ لَكُمْ ۖوَهُوَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِيْنَ ( يوسف: ٩٢ )
সে বলল, ‘আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনই অভিযোগ নেই, আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করুন! তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
اِذْهَبُوْا بِقَمِيْصِيْ هٰذَا فَاَلْقُوْهُ عَلٰى وَجْهِ اَبِيْ يَأْتِ بَصِيْرًا ۚوَأْتُوْنِيْ بِاَهْلِكُمْ اَجْمَعِيْنَ ࣖ ( يوسف: ٩٣ )
তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও আর তা আমার পিতার মুখমন্ডলে রাখ, তিনি দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন হয়ে উঠবেন, আর তোমাদের পরিবারের সবাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো।’
وَلَمَّا فَصَلَتِ الْعِيْرُ قَالَ اَبُوْهُمْ اِنِّيْ لَاَجِدُ رِيْحَ يُوْسُفَ لَوْلَآ اَنْ تُفَنِّدُوْنِ ( يوسف: ٩٤ )
যাত্রীদল যখন (মিসর থেকে) বেরিয়ে পড়ল এমন সময়ে তাদের পিতা (বাড়ীর লোকজনকে) বলল, ‘তোমরা আমাকে বয়োবৃদ্ধ দিশেহারা মনে না করলে (তোমরা জেনে রাখ) আমি অবশ্যই ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি।’
قَالُوْا تَاللّٰهِ اِنَّكَ لَفِيْ ضَلٰلِكَ الْقَدِيْمِ ( يوسف: ٩٥ )
বাড়ীতে উপস্থিত ব্যক্তিরা বলল, ‘আল্লাহর কসম! তুমি তো সেই তোমার পুরনো বিভ্রান্তিতেই আছ দেখছি।’
فَلَمَّآ اَنْ جَاۤءَ الْبَشِيْرُ اَلْقٰىهُ عَلٰى وَجْهِهٖ فَارْتَدَّ بَصِيْرًاۗ قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَّكُمْۙ اِنِّيْٓ اَعْلَمُ مِنَ اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ ( يوسف: ٩٦ )
সুসংবাদদাতা যখন এসে হাযির হল, তখন সে জামাটি ই‘য়াকুবের মুখমন্ডলের উপর রাখল, তাতে সে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল। সে বলল, ‘আমি কি তোমাদের বলিনি যে, আমি আল্লাহর নিকট হতে যা জানি তা তোমরা জান না।’
قَالُوْا يٰٓاَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَآ اِنَّا كُنَّا خٰطِـِٕيْنَ ( يوسف: ٩٧ )
তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা! আমাদের গুনাহসমূহ মাফির জন্য প্রার্থনা করুন। আমরাই ছিলাম অপরাধী।’
قَالَ سَوْفَ اَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّيْ ۗاِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ ( يوسف: ٩٨ )
সে বলল, ‘শীঘ্রই আমি আমার রবেবর কাছে তোমাদের ক্ষমার জন্য প্রার্থনা জানাব, তিনি তো বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’
فَلَمَّا دَخَلُوْا عَلٰى يُوْسُفَ اٰوٰٓى اِلَيْهِ اَبَوَيْهِ وَقَالَ ادْخُلُوْا مِصْرَ اِنْ شَاۤءَ اللّٰهُ اٰمِنِيْنَ ۗ ( يوسف: ٩٩ )
তারা যখন ইউসুফের কাছে উপস্থিত হল, সে তার পিতা-মাতাকে নিজের কাছে স্থান দিল এবং বলল, ‘আল্লাহর ইচ্ছেয় পূর্ণ নিরাপত্তায় মিসরে প্রবেশ করুন।’
وَرَفَعَ اَبَوَيْهِ عَلَى الْعَرْشِ وَخَرُّوْا لَهٗ سُجَّدًاۚ وَقَالَ يٰٓاَبَتِ هٰذَا تَأْوِيْلُ رُءْيَايَ مِنْ قَبْلُ ۖقَدْ جَعَلَهَا رَبِّيْ حَقًّاۗ وَقَدْ اَحْسَنَ بِيْٓ اِذْ اَخْرَجَنِيْ مِنَ السِّجْنِ وَجَاۤءَ بِكُمْ مِّنَ الْبَدْوِ مِنْۢ بَعْدِ اَنْ نَّزَغَ الشَّيْطٰنُ بَيْنِيْ وَبَيْنَ اِخْوَتِيْۗ اِنَّ رَبِّيْ لَطِيْفٌ لِّمَا يَشَاۤءُ ۗاِنَّهٗ هُوَ الْعَلِيْمُ الْحَكِيْمُ ( يوسف: ١٠٠ )
সে তার পিতা-মাতাকে সিংহাসনে উঠিয়ে নিল আর সকলে তার সম্মানে সাজদাহয় ঝুঁকে পড়ল। ইউসুফ বলল, ‘হে পিতা! এ-ই হচ্ছে আমার সে আগের দেখা স্বপ্নের ব্যাখ্যা। আমার রব্ব একে সত্যে পরিণত করেছেন, তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি আমাকে কয়েদখানা থেকে বের করে এনেছেন। আর শাইত্বান আমার আর আমার ভাইদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার পরও তিনি আপনাদেরকে মরু অঞ্চল থেকে এখানে (মিসরে) এনে দিয়েছেন। আমার রব্ব যা করতে ইচ্ছে করেন তা সূক্ষ্ণ উপায়ে বাস্তবায়িত করে থাকেন, তিনি বড়ই বিজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাময়।