فَخَرَجَ عَلٰى قَوْمِهٖ مِنَ الْمِحْرَابِ فَاَوْحٰٓى اِلَيْهِمْ اَنْ سَبِّحُوْا بُكْرَةً وَّعَشِيًّا ( مريم: ١١ )
অতঃপর সে তার কুঠরি থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে গেল এবং ইশারায় তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর প্রশংসা-পবিত্রতা বর্ণনা করতে বলল।
يٰيَحْيٰى خُذِ الْكِتٰبَ بِقُوَّةٍ ۗوَاٰتَيْنٰهُ الْحُكْمَ صَبِيًّاۙ ( مريم: ١٢ )
(তার পুত্রের কাছে নির্দেশ আসল) ‘হে ইয়াহ্ইয়া! এ কিতাব (তাওরাত) সুদৃঢ়ভাবে ধারণ কর।’ আমি তাকে বাল্য কালেই জ্ঞান দান করেছিলাম।
وَّحَنَانًا مِّنْ لَّدُنَّا وَزَكٰوةً ۗوَكَانَ تَقِيًّا ۙ ( مريم: ١٣ )
আর (দিয়েছিলাম) আমার পক্ষ থেকে দয়া-মায়া ও পবিত্রতা। সে ছিল আল্লাহভীরু ।
وَّبَرًّاۢ بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ جَبَّارًا عَصِيًّا ( مريم: ١٤ )
আর পিতা-মাতার প্রতি সদয়, সে দাম্ভিক, অবাধ্য ছিল না।
وَسَلٰمٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوْتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا ࣖ ( مريم: ١٥ )
তার উপর শান্তি যেদিন সে জন্মেছে, যেদিন তার মৃত্যু হবে আর যেদিন সে জীবন্ত হয়ে উত্থিত হবে।
وَاذْكُرْ فِى الْكِتٰبِ مَرْيَمَۘ اِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ اَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا ۙ ( مريم: ١٦ )
এ কিতাবে (উল্লেখিত) মারইয়ামের কাহিনী বর্ণনা কর- যখন সে তার পরিবারবর্গ হতে আলাদা হয়ে পূর্ব দিকে এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল।
فَاتَّخَذَتْ مِنْ دُوْنِهِمْ حِجَابًاۗ فَاَرْسَلْنَآ اِلَيْهَا رُوْحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا ( مريم: ١٧ )
সে তাদের থেকে (আড়াল করার জন্য) পর্দা টানিয়ে দিল। তখন আমি তার কাছে আমার রূহ্কে (অর্থাৎ জিবরীলকে) পাঠিয়ে দিলাম। তখন সে (অর্থাৎ জিবরীল) তার সামনে পূর্ণ মানুষের আকৃতি ধারণ করল।
قَالَتْ اِنِّيْٓ اَعُوْذُ بِالرَّحْمٰنِ مِنْكَ اِنْ كُنْتَ تَقِيًّا ( مريم: ١٨ )
মারইয়াম বলল, ‘আমি তোমা হতে দয়াময় আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি যদি তুমি আল্লাহকে ভয় কর’ (তবে আমার নিকট এসো না)।’
قَالَ اِنَّمَآ اَنَا۠ رَسُوْلُ رَبِّكِۖ لِاَهَبَ لَكِ غُلٰمًا زَكِيًّا ( مريم: ١٩ )
সে বলল, ‘আমি তোমার প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত হয়েছি তোমাকে একটি পুত-পবিত্র পুত্র দানের উদ্দেশ্যে।’
قَالَتْ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ غُلٰمٌ وَّلَمْ يَمْسَسْنِيْ بَشَرٌ وَّلَمْ اَكُ بَغِيًّا ( مريم: ٢٠ )
সে বলল, ‘কেমন করে আমার পুত্র হতে পারে, যখন কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি, আর আমি অসতীও নই।’