وَلَقَدِ اسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّنْ قَبْلِكَ فَحَاقَ بِالَّذِيْنَ سَخِرُوْا مِنْهُمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِءُوْنَ ࣖ ( الأنبياء: ٤١ )
তোমার পূর্বেও রসূলদেরকে ঠাট্টা করা হয়েছে, অতঃপর যা দিয়ে তারা ঠাট্টা করত তা উল্টো ঠাট্টা-বিদ্রুপই তাদেরকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছিল।
قُلْ مَنْ يَّكْلَؤُكُمْ بِالَّيْلِ وَالنَّهَارِ مِنَ الرَّحْمٰنِۗ بَلْ هُمْ عَنْ ذِكْرِ رَبِّهِمْ مُّعْرِضُوْنَ ( الأنبياء: ٤٢ )
বল, ‘কে তোমাদেরকে রাতে আর দিনে রহমান (এর গযব) থেকে নিরাপদ রাখতে পারে? তবুও তারা তাদের প্রতিপালকের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
اَمْ لَهُمْ اٰلِهَةٌ تَمْنَعُهُمْ مِّنْ دُوْنِنَاۗ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ نَصْرَ اَنْفُسِهِمْ وَلَا هُمْ مِّنَّا يُصْحَبُوْنَ ( الأنبياء: ٤٣ )
তবে কি তাদের এমন দেবদেবী আছে যা তাদেরকে রক্ষা করবে আমার (প্রতিরক্ষা) ছাড়াই? তারা তো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারে না, আর তারা আমার বিরুদ্ধে কোন প্রতিরক্ষাও পাবে না।
بَلْ مَتَّعْنَا هٰٓؤُلَاۤءِ وَاٰبَاۤءَهُمْ حَتّٰى طَالَ عَلَيْهِمُ الْعُمُرُۗ اَفَلَا يَرَوْنَ اَنَّا نَأْتِى الْاَرْضَ نَنْقُصُهَا مِنْ اَطْرَافِهَاۗ اَفَهُمُ الْغٰلِبُوْنَ ( الأنبياء: ٤٤ )
বরং আমিই তাদেরকে আর তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে পার্থিব ভোগ্যবস্তু দিয়েছিলাম আর তাদেরকে আয়ুও দেয়া হয়েছিল দীর্ঘ; তারা কি দেখছে না যে, আমি তাদের দেশকে চারপাশের (তাদের নিয়ন্ত্রিত) সীমান্ত হতে সংকুচিত করে আনছি? এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?’
قُلْ اِنَّمَآ اُنْذِرُكُمْ بِالْوَحْيِۖ وَلَا يَسْمَعُ الصُّمُّ الدُّعَاۤءَ اِذَا مَا يُنْذَرُوْنَ ( الأنبياء: ٤٥ )
বল, আমি তোমাদেরকে একমাত্র (আল্লাহর) ওয়াহী দ্বারাই সতর্ক করি, কিন্তু বধিররা ডাক শুনবে না যখন তাদেরকে সতর্ক করা হয়।
وَلَىِٕنْ مَّسَّتْهُمْ نَفْحَةٌ مِّنْ عَذَابِ رَبِّكَ لَيَقُوْلُنَّ يٰوَيْلَنَآ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيْنَ ( الأنبياء: ٤٦ )
তোমার প্রতিপালকের গযবের একটা নিঃশ্বাস যদি তাদের উপর পতিত হয় তবে তারা অবশ্য অবশ্যই বলে উঠবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! আমরাই তো ছিলাম অপরাধী।’
وَنَضَعُ الْمَوَازِيْنَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْـًٔاۗ وَاِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَيْنَا بِهَاۗ وَكَفٰى بِنَا حَاسِبِيْنَ ( الأنبياء: ٤٧ )
আর কিয়ামাত দিবসে আমি সুবিচারের মানদন্ড স্থাপন করব, অতঃপর কারো প্রতি এতটুকুও অন্যায় করা হবে না। (কর্ম) সরিষার দানা পরিমাণ হলেও তা আমি হাযির করব, হিসাব গ্রহণে আমিই যথেষ্ট।
وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسٰى وَهٰرُوْنَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاۤءً وَّذِكْرًا لِّلْمُتَّقِيْنَ ۙ ( الأنبياء: ٤٨ )
আমি মূসা ও হারূনকে (সত্য-মিথ্যার) মানদন্ড, আলো ও বাণী দিয়েছিলাম মুত্তাকীদের জন্য।
الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ وَهُمْ مِّنَ السَّاعَةِ مُشْفِقُوْنَ ( الأنبياء: ٤٩ )
যারা না দেখেই তাদের প্রতিপালককে ভয় করে আর তারা কিয়ামাত সম্পর্কে ভীত-শংকিত।
وَهٰذَا ذِكْرٌ مُّبٰرَكٌ اَنْزَلْنٰهُۗ اَفَاَنْتُمْ لَهٗ مُنْكِرُوْنَ ࣖ ( الأنبياء: ٥٠ )
এ হচ্ছে কল্যাণময় উপদেশ বাণী, আমি তা নাযিল করেছি; তবুও কি তা তোমরা প্রত্যাখ্যান করবে?