وَلَيَعْلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَلَيَعْلَمَنَّ الْمُنٰفِقِيْنَ ( العنكبوت: ١١ )
আল্লাহ অবশ্য অবশ্যই জেনে নেবেন কারা ঈমান এনেছে আর অবশ্য অবশ্যই জেনে নেবেন কারা মুনাফিক।
وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّبِعُوْا سَبِيْلَنَا وَلْنَحْمِلْ خَطٰيٰكُمْۗ وَمَا هُمْ بِحَامِلِيْنَ مِنْ خَطٰيٰهُمْ مِّنْ شَيْءٍۗ اِنَّهُمْ لَكٰذِبُوْنَ ( العنكبوت: ١٢ )
কাফিররা মু’মিনদেরকে বলে, ‘আমাদের পথ অনুসরণ কর, আমরা তোমাদের পাপের বোঝা বহন করব, মূলতঃ তারা তাদের পাপের কিছুই বহন করবে না, অবশ্যই তারা মিথ্যেবাদী।
وَلَيَحْمِلُنَّ اَثْقَالَهُمْ وَاَثْقَالًا مَّعَ اَثْقَالِهِمْ وَلَيُسْـَٔلُنَّ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ عَمَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ ࣖ ( العنكبوت: ١٣ )
তারা অবশ্য অবশ্যই তাদের নিজেদের পাপের বোঝা বহন করবে, নিজেদের বোঝার সাথে আরো বোঝা, আর তারা যে সব মিথ্যে উদ্ভাবন করত সে সম্পর্কে ক্বিয়ামত দিবসে তারা অবশ্য অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে।
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰى قَوْمِهٖ فَلَبِثَ فِيْهِمْ اَلْفَ سَنَةٍ اِلَّا خَمْسِيْنَ عَامًا ۗفَاَخَذَهُمُ الطُّوْفَانُ وَهُمْ ظٰلِمُوْنَ ( العنكبوت: ١٤ )
আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম, অতঃপর সে পঞ্চাশ বছর কম হাজার বছর তাদের মাঝে অবস্থান করেছিল। অতঃপর মহাপ্লাবন তাদেরকে গ্রাস করল কারণ তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী।
فَاَنْجَيْنٰهُ وَاَصْحٰبَ السَّفِيْنَةِ وَجَعَلْنٰهَآ اٰيَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ ( العنكبوت: ١٥ )
অতঃপর আমি তাকে ও নৌকারোহীদেরকে রক্ষে করলাম আর এটাকে করলাম বিশ্বজগতের জন্য নিদর্শন।
وَاِبْرٰهِيْمَ اِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَاتَّقُوْهُ ۗذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ( العنكبوت: ١٦ )
স্মরণ কর যখন ইবরাহীম তার সম্প্রদায়কে বলেছিল- ‘তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর আর তাঁকে ভয় কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, তোমরা যদি জানতে!
اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّتَخْلُقُوْنَ اِفْكًا ۗاِنَّ الَّذِيْنَ تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَا يَمْلِكُوْنَ لَكُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوْا عِنْدَ اللّٰهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوْهُ وَاشْكُرُوْا لَهٗ ۗاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ ( العنكبوت: ١٧ )
তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে প্রতিমার পূজা করছ আর তোমরা মিথ্যে উদ্ভাবন করছ। আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যে সবগুলোর পূজা করছ তারা তোমাদেরকে রিযক দানের কোন ক্ষমতা রাখে না, কাজেই তোমরা আল্লাহর নিকট রিযক তালাশ কর, আর তাঁরই ‘ইবাদাত কর, আর তাঁরই প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, তোমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
وَاِنْ تُكَذِّبُوْا فَقَدْ كَذَّبَ اُمَمٌ مِّنْ قَبْلِكُمْ ۗوَمَا عَلَى الرَّسُوْلِ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِيْنُ ( العنكبوت: ١٨ )
তোমরা যদি (রাসূলকে) মিথ্যে বলে অস্বীকার কর তবে তোমাদের পূর্বের বংশাবলীও অস্বীকার করেছিল, সুস্পষ্টভাবে প্রচার করা ব্যতীত রসূলের উপর কোন দায়িত্ব নেই।
اَوَلَمْ يَرَوْا كَيْفَ يُبْدِئُ اللّٰهُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗ ۗاِنَّ ذٰلِكَ عَلَى اللّٰهِ يَسِيْرٌ ( العنكبوت: ١٩ )
তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ কীভাবে সৃষ্টির সূচনা করেন অতঃপর তার পুনরাবর্তন ঘটান, নিশ্চয় এটা আল্লাহর জন্য সহজ।
قُلْ سِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ بَدَاَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللّٰهُ يُنْشِئُ النَّشْاَةَ الْاٰخِرَةَ ۗاِنَّ اللّٰهَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ۚ ( العنكبوت: ٢٠ )
বল- ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর লক্ষ্য কর কীভাবে আল্লাহ সৃষ্টির সূচনা করেছেন, অতঃপর আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি, আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।