Skip to main content

يَٰٓأَيُّهَا
হে
ٱلرَّسُولُ
রাসূল
لَا
(যেন) না
يَحْزُنكَ
তোমাকে দুঃখ দেয়
ٱلَّذِينَ
(তাদের কার্যক্রম) যারা
يُسَٰرِعُونَ
দ্রুত ধাবিত হয়
فِى
মধ্যে
ٱلْكُفْرِ
অবিশ্বাসের
مِنَ
মধ্য হতে
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
قَالُوٓا۟
বলে
ءَامَنَّا
"ঈমান এনেছি আমরা"
بِأَفْوَٰهِهِمْ
দিয়ে মুখগুলো তাদের
وَلَمْ
কিন্তু নি
تُؤْمِن
ঈমান আনে
قُلُوبُهُمْۛ
অন্তরগুলো তাদের
وَمِنَ
এবং মধ্য হতে
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
هَادُوا۟ۛ
ইয়াহুদী হয়েছে
سَمَّٰعُونَ
শুনতে বেশি আগ্রহী
لِلْكَذِبِ
প্রতি মিথ্যার
سَمَّٰعُونَ
শুনতে বেশি আগ্রহী
لِقَوْمٍ
প্রতি সম্প্রদায়ের
ءَاخَرِينَ
অন্যান্য (যারা)
لَمْ
নি
يَأْتُوكَۖ
তোমার কাছে আসে
يُحَرِّفُونَ
তারা বিকৃত করে
ٱلْكَلِمَ
(আল্লাহর) কথা
مِنۢ
থেকেও
بَعْدِ
পর
مَوَاضِعِهِۦۖ
প্রসঙ্গস্থান তার (নির্ধারণের)
يَقُولُونَ
তারা বলে
إِنْ
"যদি
أُوتِيتُمْ
দেয়া হয় তোমাদের
هَٰذَا
এই (আদেশ)
فَخُذُوهُ
তবে গ্রহণ করো তা
وَإِن
এবং যদি
لَّمْ
না
تُؤْتَوْهُ
দেয়া হয় তা
فَٱحْذَرُوا۟ۚ
তবে তোমরা বর্জন করো"
وَمَن
এবং যাকে
يُرِدِ
চান
ٱللَّهُ
আল্লাহ
فِتْنَتَهُۥ
তার পরীক্ষায় (ফেলতে)
فَلَن
তবে কখনও না
تَمْلِكَ
সক্ষম হবে তুমি
لَهُۥ
তাকে (বাঁচাতে)
مِنَ
থেকে
ٱللَّهِ
আল্লাহ
شَيْـًٔاۚ
কিছু মাত্রও
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
ٱلَّذِينَ
(তারাই) যাদের
لَمْ
না
يُرِدِ
চেয়েছেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
أَن
যে
يُطَهِّرَ
পবিত্র করবেন
قُلُوبَهُمْۚ
অন্তরগুলোকে তাদের
لَهُمْ
জন্যে তাদের (রয়েছে)
فِى
মধ্যে
ٱلدُّنْيَا
পৃথিবীর
خِزْىٌۖ
অপমান
وَلَهُمْ
ও জন্যে তাদের (রয়েছে)
فِى
মধ্যে
ٱلْءَاخِرَةِ
আখেরাতে
عَذَابٌ
শাস্তি
عَظِيمٌ
কঠোর

হে রসূল! কুফরীর ব্যাপারে তাদের প্রতিযোগিতা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়, যারা মুখে বলে ঈমান এনেছি কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী, তারা মিথ্যা কথা শুনতে বিশেষ পারদর্শী, তারা তোমার কথাগুলো অন্য সম্প্রদায়ের স্বার্থে কান পেতে শোনে যারা তোমার নিকট (কখনো) আসেনি, এরা আল্লাহর কিতাবের শব্দগুলোকে প্রকৃত অর্থ হতে বিকৃত করে। তারা বলে, তোমরা এ রকম নির্দেশপ্রাপ্ত হলে মানবে, আর তা না হলে বর্জন করবে। বস্তুত আল্লাহই যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমার কিছুই করার নেই। ওরা হল সেই লোক, যাদের অন্তরাত্মাকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে আছে মহা শাস্তি।

ব্যাখ্যা

سَمَّٰعُونَ
তারা শুনতে বেশি আগ্রহী
لِلْكَذِبِ
প্রতি মিথ্যার
أَكَّٰلُونَ
অধিক ভক্ষণকারী
لِلسُّحْتِۚ
জন্যে অবৈধ জিনিষের
فَإِن
অতএব যদি
جَآءُوكَ
তোমার কাছে আসে
فَٱحْكُم
তবে বিচার করে দাও
بَيْنَهُمْ
মাঝে তাদের
أَوْ
অথবা
أَعْرِضْ
উপেক্ষা করো
عَنْهُمْۖ
থেকে তাদের (এটা তোমার ইচ্ছা)
وَإِن
এবং যদি
تُعْرِضْ
তুমি উপেক্ষা করো
عَنْهُمْ
থেকে তাদের
فَلَن
তবে কখনও না
يَضُرُّوكَ
তারা তোমাকে ক্ষতি করতে পারবে
شَيْـًٔاۖ
কিছুমাত্র
وَإِنْ
আর যদি
حَكَمْتَ
তুমি বিচার করো
فَٱحْكُم
তবে বিচার করো
بَيْنَهُم
মাঝে তাদের
بِٱلْقِسْطِۚ
সাথের ন্যায়ের
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ٱللَّهَ
আল্লাহ
يُحِبُّ
ভালবাসেন
ٱلْمُقْسِطِينَ
ন্যায়বিচারকারীদেরকে

তারা বেশিবেশি মিথ্যে শুনতে আগ্রহী, হারাম ভক্ষণকারী, তারা যদি তোমার কাছে আসে তাহলে (ইচ্ছে হলে) তাদের বিবাদ নিস্পত্তি কর নতুবা অস্বীকার কর। অস্বীকার করলে তারা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। যদি বিচার ফায়সালা কর তাহলে ইনসাফের সাথে তাদের বিচার ফায়সালা কর, আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।

ব্যাখ্যা

وَكَيْفَ
এবং কিরূপে
يُحَكِّمُونَكَ
তোমাকে তারা বিচারক মানবে
وَعِندَهُمُ
অথচ কাছে (আছে)তাদের
ٱلتَّوْرَىٰةُ
তাওরাত
فِيهَا
মধ্যে তার(রয়েছে)
حُكْمُ
নির্দেশ
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ثُمَّ
এরপর
يَتَوَلَّوْنَ
তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়
مِنۢ
থেকেও
بَعْدِ
পর
ذَٰلِكَۚ
এর
وَمَآ
এবং না
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
بِٱلْمُؤْمِنِينَ
মু’মিন

এরা তোমাকে কীভাবে বিচারক মানতে পারে যখন তাদের মাঝেই তাওরাত বিদ্যমান আছে, তার ভিতর আল্লাহর বিধান আছে, এর পরেও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, বস্তুত তারা মু’মিনই নয়।

ব্যাখ্যা

إِنَّآ
নিশ্চয়ই আমরা
أَنزَلْنَا
আমরা অবতীর্ণ করেছি
ٱلتَّوْرَىٰةَ
তাওরাত
فِيهَا
মধ্যে তার(ছিলো)
هُدًى
পথনির্দেশ
وَنُورٌۚ
ও আলো
يَحْكُمُ
বিধান দিতেন
بِهَا
দিয়ে তা
ٱلنَّبِيُّونَ
নাবীগণ
ٱلَّذِينَ
যারা
أَسْلَمُوا۟
আত্মসমর্পণ করেছিলো
لِلَّذِينَ
জন্যে তাদের (যারা)
هَادُوا۟
ইয়াহুদী হয়েছিলো
وَٱلرَّبَّٰنِيُّونَ
ও রব্বানিরা (বিধান দিতেন)
وَٱلْأَحْبَارُ
ও পন্ডিতগণ
بِمَا
কেননা
ٱسْتُحْفِظُوا۟
তাদের রক্ষক বানানো (হয়েছিলো)
مِن
থেকে
كِتَٰبِ
কিতাবের
ٱللَّهِ
আল্লাহর
وَكَانُوا۟
এবং তারা ছিলো
عَلَيْهِ
উপর তার
شُهَدَآءَۚ
সাক্ষী
فَلَا
(হে বনী ইসরাঈল)অতএব না
تَخْشَوُا۟
তোমরা ভয় করো
ٱلنَّاسَ
মানুষকে
وَٱخْشَوْنِ
এবং আমাকে তোমরা ভয় করো
وَلَا
এবং না
تَشْتَرُوا۟
তোমরা ক্রয় করো
بِـَٔايَٰتِى
বিনিময়ে আমার আয়াতগুলোর
ثَمَنًا
মূল্য
قَلِيلًاۚ
সামান্য
وَمَن
এবং যে কেউ
لَّمْ
না
يَحْكُم
বিচার করে
بِمَآ
তা দিয়ে যা
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐ সব লোক
هُمُ
তারাই
ٱلْكَٰفِرُونَ
কাফির

আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তাতে ছিল সঠিক পথের দিশা ও আলো। অনুগত নাবীগণ এর দ্বারা ইয়াহূদীদেরকে ফায়সালা দিত। দরবেশ ও আলিমরাও (তাই করত) কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল আর তারা ছিল এর সাক্ষী। কাজেই মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর, আর আমার আয়াতকে নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই কাফির।

ব্যাখ্যা

وَكَتَبْنَا
এবং বিধান দিয়েছি আমরা
عَلَيْهِمْ
উপর তাদের
فِيهَآ
মধ্যে তার (অর্থাৎ তাওরাতে)
أَنَّ
যে
ٱلنَّفْسَ
প্রাণ
بِٱلنَّفْسِ
বদলে প্রাণের
وَٱلْعَيْنَ
ও চোখ
بِٱلْعَيْنِ
বদলে চোখের
وَٱلْأَنفَ
ও নাক
بِٱلْأَنفِ
বদলে নাকের
وَٱلْأُذُنَ
ও কান
بِٱلْأُذُنِ
বদলে কানের
وَٱلسِّنَّ
ও দাঁত
بِٱلسِّنِّ
বদলে দাঁতের
وَٱلْجُرُوحَ
ও জখমগুলোর
قِصَاصٌۚ
(কিসাস)অনুরূপ জখম
فَمَن
তবে যে
تَصَدَّقَ
ক্ষমা করে
بِهِۦ
দিয়ে তা (অর্থাৎ কিসাসের)
فَهُوَ
তবে তা
كَفَّارَةٌ
পাপ মোচন
لَّهُۥۚ
জন্যে তার
وَمَن
এবং যে
لَّمْ
না
يَحْكُم
বিচার করে
بِمَآ
দিয়ে তা(যা)
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐসব লোক
هُمُ
তারাই
ٱلظَّٰلِمُونَ
সীমালঙ্ঘনকারী

আমি তাদের জন্য তাতে বিধান দিয়েছিলাম যে, জানের বদলে জান, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, আর দাঁতের বদলে দাঁত। আর জখমের বদলে অনুরূপ জখম। কেউ ক্ষমা করে দিলে তাতে তারই পাপ মোচন হবে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই যালিম।

ব্যাখ্যা

وَقَفَّيْنَا
এবং পিছনে পাঠিয়েছি আমরা
عَلَىٰٓ
উপর
ءَاثَٰرِهِم
পদচিহ্নের তাদের
بِعِيسَى
ঈসাকে
ٱبْنِ
পুত্র
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
مُصَدِّقًا
সত্যায়নকারীরূপে
لِّمَا
তার যা কিছু
بَيْنَ
মাঝে
يَدَيْهِ
হাতের তার
مِنَ
মধ্য হতে
ٱلتَّوْرَىٰةِۖ
তাওরাতের
وَءَاتَيْنَٰهُ
ও আমরা দিয়েছি তাকে
ٱلْإِنجِيلَ
ইঞ্জিল
فِيهِ
মধ্যে তার(ছিলো)
هُدًى
পথনির্দেশ
وَنُورٌ
ও আলো
وَمُصَدِّقًا
এবং (ইঞ্জিলও) সত্যায়নকারী
لِّمَا
তার যা কিছু
بَيْنَ
মাঝে
يَدَيْهِ
হাতের তার
مِنَ
মধ্য হতে
ٱلتَّوْرَىٰةِ
তওরাতের
وَهُدًى
এবং পথনির্দেশ
وَمَوْعِظَةً
ও উপদেশ
لِّلْمُتَّقِينَ
জন্যে মুত্তাকীদের

তাদের পশ্চাতে মারইয়াম পুত্র ‘ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তাদের সামনে তাওরাত কিতাবের যা কিছু ছিল তার সত্যতা প্রতিপাদনকারী হিসেবে। তাকে ইঞ্জিল দিয়েছিলাম, যাতে ছিল সত্য পথের দিশা ও আলো, এবং ইহা পূর্ববর্তী কিতাব তাওরাতকে সত্যায়নকারী এবং মুত্তাকীদের জন্য সঠিক পথের দিশা ও নাসীহাত।

ব্যাখ্যা

وَلْيَحْكُمْ
এবং (নির্দেশ ছিলো) যেন বিচার করে
أَهْلُ
অনুসারীরা
ٱلْإِنجِيلِ
ইঞ্জিলের
بِمَآ
সেই অনুসারে যা
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
فِيهِۚ
মধ্যে তার
وَمَن
এবং যে
لَّمْ
না
يَحْكُم
বিচার করে
بِمَآ
তা দিয়ে যা
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐসব লোক
هُمُ
তারা
ٱلْفَٰسِقُونَ
সত্যত্যাগী

ইঞ্জিলের অনুসারীগণ যেন আল্লাহ তাতে যে বিধান দিয়েছেন তদনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই ফাসিক।

ব্যাখ্যা

وَأَنزَلْنَآ
এবং (হে নাবী)অবতীর্ণ করেছি
إِلَيْكَ
প্রতি তোমার
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
بِٱلْحَقِّ
সহকারে সত্য
مُصَدِّقًا
সত্যায়নকারী
لِّمَا
তার যা
بَيْنَ
মাঝে
يَدَيْهِ
হাতের তার
مِنَ
মধ্য হতে
ٱلْكِتَٰبِ
সেই কিতাবের
وَمُهَيْمِنًا
ও সংরক্ষকরূপে
عَلَيْهِۖ
উপর তার
فَٱحْكُم
অতএব বিচার করো
بَيْنَهُم
মাঝে তাদের
بِمَآ
সে অনুসারে যা
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
ٱللَّهُۖ
আল্লাহ
وَلَا
এবং না
تَتَّبِعْ
অনুসরণ করো
أَهْوَآءَهُمْ
খেয়ালখুশির তাদের
عَمَّا
তা ছেড়ে যা
جَآءَكَ
তোমার কাছে এসেছে
مِنَ
থেকে
ٱلْحَقِّۚ
মহাসত্য (অর্থাৎ আল-কুরআন)
لِكُلٍّ
জন্যে প্রত্যেকের
جَعَلْنَا
নির্ধারণ করে দিয়েছি আমরা
مِنكُمْ
মধ্য থেকে তোমাদের
شِرْعَةً
(শরীয়তের) বিধান
وَمِنْهَاجًاۚ
ও কর্মপন্থা
وَلَوْ
এবং যদি
شَآءَ
ইচ্ছে করতেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
لَجَعَلَكُمْ
অবশ্যই বানাতেন তোমাদের
أُمَّةً
জাতি
وَٰحِدَةً
একটি (মাত্র)
وَلَٰكِن
কিন্তু (ভিন্ন ভিন্ন করেছেন)
لِّيَبْلُوَكُمْ
যেন পরীক্ষা করেন তোমাদের
فِى
(তার) মধ্যে
مَآ
যা
ءَاتَىٰكُمْۖ
দিয়েছেন তোমাদের
فَٱسْتَبِقُوا۟
তাই তোমরা প্রতিযোগিতা করো
ٱلْخَيْرَٰتِۚ
কল্যাণসমূহের
إِلَى
দিকে
ٱللَّهِ
আল্লাহরই
مَرْجِعُكُمْ
প্রত্যাবর্তন হবে তোমাদের
جَمِيعًا
সবারই
فَيُنَبِّئُكُم
তখন তিনি জানিয়ে দিবেন তোমাদের
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
كُنتُمْ
তোমরা ছিলে
فِيهِ
মধ্যে তার
تَخْتَلِفُونَ
মতভেদ করতে

আর আমি সত্য বিধানসহ তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী ও সংরক্ষক। কাজেই মানুষদের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে, আর তোমার কাছে যে সত্যবিধান এসেছে তা ছেড়ে দিয়ে তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি শরীয়াত ও একটি কর্মপথ নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে এক উম্মাত করতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন সেই ব্যাপারে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান। কাজেই তোমরা সৎকর্মে অগ্রগামী হও, তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকেই। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন।

ব্যাখ্যা

وَأَنِ
এবং (এও নির্দেশ) যে
ٱحْكُم
বিচার করো তুমি
بَيْنَهُم
মাঝে তাদের
بِمَآ
তা দিয়ে যা
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
وَلَا
এবং না
تَتَّبِعْ
অনুসরণ করো
أَهْوَآءَهُمْ
খেয়াল-খুশির তাদের
وَٱحْذَرْهُمْ
এবং তাদের সম্পর্কে সতর্ক হও
أَن
যেন (না)
يَفْتِنُوكَ
তোমাকে বিপদে ফেলে (বিচ্যুত করে)
عَنۢ
হতে
بَعْضِ
কিছু অংশ
مَآ
যারা
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন
ٱللَّهُ
আল্লাহ
إِلَيْكَۖ
প্রতি তোমার
فَإِن
অতএব যদি
تَوَلَّوْا۟
তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়
فَٱعْلَمْ
তবে জেনে রাখো
أَنَّمَا
মূলতঃ
يُرِيدُ
চান
ٱللَّهُ
আল্লাহ
أَن
যে
يُصِيبَهُم
পৌঁছাবেন তাদের(শাস্তি)
بِبَعْضِ
কারণে কিছু অংশের
ذُنُوبِهِمْۗ
পাপসমূহের তাদের
وَإِنَّ
এবং নিশ্চয়ই
كَثِيرًا
অনেকে
مِّنَ
মধ্য হতে
ٱلنَّاسِ
মানুষের
لَفَٰسِقُونَ
অবশ্যই সত্যত্যাগী

আর তুমি তাদের মধ্যে বিচার ফয়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক তারা যেন আল্লাহ তোমার প্রতি যা নাযিল করেছেন তার কোন কিছু থেকে তোমাকে ফেতনায় না ফেলতে পারে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রেখ, আল্লাহ তাদের কোন কোন পাপের কারণে তাদেরকে শাস্তি দিতে চান, মানুষদের অধিকাংশই প্রকৃতপক্ষে সত্য ত্যাগী।

ব্যাখ্যা

أَفَحُكْمَ
কি তবে বিধান
ٱلْجَٰهِلِيَّةِ
জাহিলীয়াতের
يَبْغُونَۚ
তারা চায়
وَمَنْ
এবং কে (আছে)
أَحْسَنُ
উত্তম
مِنَ
চেয়ে
ٱللَّهِ
আল্লাহর
حُكْمًا
বিধান দানে
لِّقَوْمٍ
(সেইসব) সম্প্রদায়ের জন্যে
يُوقِنُونَ
(যারা) দৃঢ় বিশ্বাসী

তারা কি জাহিলী যুগের আইন বিধান চায়? দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আইন-বিধান প্রদানে আল্লাহ হতে কে বেশী শ্রেষ্ঠ?

ব্যাখ্যা