বল, ‘সত্য এসে গেছে আর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই।’
আমি কুরআন হতে (ক্রমশঃ) অবতীর্ণ করি যা মু’মিনদের জন্য আরোগ্য ও রহমাত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর অহঙ্কারে দূরে সরে পড়ে; কিন্তু যখন অমঙ্গল তাকে স্পর্শ করে তখন সে নিরাশ হয়ে যায়।
বল, ‘প্রত্যেকেই স্বীয় রীতি-পন্থা অনুযায়ী কাজ করে। এখন তোমার রববই ভাল জানেন কে চলার পথে অধিকতর সঠিক পথে আছে।
তোমাকে তারা রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বল, ‘রূহ হচ্ছে আমার প্রতিপালকের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত (একটি হুকুম)। এ সম্পর্কে তোমাকে অতি সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।’
ইচ্ছে করলে আমি তোমার প্রতি যা ওয়াহী করেছি তা কেড়ে নিতে পারতাম, সে অবস্থায় তুমি আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোন কার্য সম্পাদনকারী পাবে না
তোমার প্রতিপালকের দয়া ছাড়া। তোমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ (সত্যিই) বিরাট।
বল, ‘এ কুরআনের মত একখানা কুরআন আনার জন্য যদি সমগ্র মানব আর জ্বীন একত্রিত হয় তবুও তারা তার মত আনতে পারবে না, যদিও তারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে।’
আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই ঈমান গ্রহণ করতে অস্বীকার করে কেবল কুফরিই করল।
তারা বলে, ‘আমরা তোমার প্রতি কক্ষনো ঈমান আনব না যে পর্যন্ত তুমি আমাদের জন্য যমীন থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত না করবে।