যখন তাদের গলায় থাকবে বেড়ি আর শিকল; তাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে
ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে দগ্ধ করা হবে।
অতঃপর তাদেরকে বলা হবে- তারা কোথায় তোমরা যাদেরকে (আল্লাহর) শরীক গণ্য করতে
আল্লাহকে বাদ দিয়ে? (উত্তরে) তারা বলবে- তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে। না, আমরা আগে (যার অস্তিত্ব আছে এমন) কোন কিছুকেই ডাকিনি। এভাবে আল্লাহ কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট হওয়ার সুযোগ দেন।
এর কারণ এই যে, তোমরা অসত্য নিয়ে উল্লাস করতে, আর এজন্য যে, তোমরা গর্ব অহংকার করতে।
তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলো দিয়ে প্রবেশ কর, চিরকাল তার ভিতরে থাকার জন্য। দাম্ভিকদের বাসস্থান কতই না নিকৃষ্ট!
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর, (কেননা) আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য। অতঃপর আমি তাদেরকে (শাস্তির) যে ওয়া‘দা দিয়েছি তার কিছু যদি তোমাকে (এ পৃথিবীতেই) দেখিয়ে দেই অথবা (তাদেরকে শাস্তি দেয়ার পূর্বেই) তোমার মৃত্যু ঘটাই, (উভয় অবস্থাতেই) তাদেরকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। (আমার শাস্তি থেকে তারা রেহাই পাবে না)।
আমি তোমার পূর্বে অনেক রসূল পাঠিয়েছিলাম। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি, তাদের মধ্যে কারো কারো কথা আমি তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহর নির্দেশ যখন জারী হয়ে যায়, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে (বিষয়টির) ফয়সালা করা হয়। আর যারা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়েছিল তারা তখনকার তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
আল্লাহ- যিনি তোমাদের জন্য গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কতকগুলোর উপর আরোহণ করতে পার, আর কতকগুলো থেকে আহার করতে পার।
ওগুলোতে তোমাদের জন্য আছে বহু উপকার। তোমরা তোমাদের অন্তরে যে প্রয়োজনবোধ কর, যাতে ওগুলোর দ্বারা তা মিটাতে পার। ওগুলোর উপর আর নৌযানে তোমাদেরকে বহন করা হয়।