وَالَّذِيْ نَزَّلَ مِنَ السَّمَاۤءِ مَاۤءًۢ بِقَدَرٍۚ فَاَنْشَرْنَا بِهٖ بَلْدَةً مَّيْتًا ۚ كَذٰلِكَ تُخْرَجُوْنَ ( الزخرف: ١١ )
যিনি আকাশ থেকে পরিমিত পানি বর্ষণ করেন যা দিয়ে তিনি মৃত ভূ-ভাগকে সঞ্জীবিত করেন। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে।
وَالَّذِيْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ كُلَّهَا وَجَعَلَ لَكُمْ مِّنَ الْفُلْكِ وَالْاَنْعَامِ مَا تَرْكَبُوْنَۙ ( الزخرف: ١٢ )
তিনি সব কিছুকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, আর তোমাদের জন্য নৌযান ও গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা আরোহণ কর,
لِتَسْتَوٗا عَلٰى ظُهُوْرِهٖ ثُمَّ تَذْكُرُوْا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ اِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُوْلُوْا سُبْحٰنَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَۙ ( الزخرف: ١٣ )
যাতে তোমরা যখন তাদের পিঠে স্থির হয়ে বস, তখন যেন তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর আর বল- মহান ও পবিত্র তিনি যিনি, এগুলোকে আমাদের (ব্যবহারের জন্য) বশীভূত করে দিয়েছেন, আমরা এগুলোকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না।
وَاِنَّآ اِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ( الزخرف: ١٤ )
আর আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের দিকে ফিরে যেতে হবে।
وَجَعَلُوْا لَهٗ مِنْ عِبَادِهٖ جُزْءًا ۗاِنَّ الْاِنْسَانَ لَكَفُوْرٌ مُّبِيْنٌ ۗ ࣖ ( الزخرف: ١٥ )
আর তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য হতে কতককে আল্লাহর অংশ মনে করে নিয়েছে (যেমন ‘ঈসা (আঃ)-কে তারা আল্লাহর পুত্র মনে করে)। মানুষ অবশ্যই স্পষ্টতঃ অকৃতজ্ঞ।
اَمِ اتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنٰتٍ وَّاَصْفٰىكُمْ بِالْبَنِيْنَ ۗ ( الزخرف: ١٦ )
কি! তিনি তাঁরই সৃষ্টি হতে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন আর তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?
وَاِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهٗ مُسْوَدًّا وَّهُوَ كَظِيْمٌ ( الزخرف: ١٧ )
তাদের কাউকে যখন সংবাদ দেয়া হয় সেই সন্তানের যা তারা দয়াময় আল্লাহর প্রতি আরোপ করে, তখন তার মুখ মন্ডলে কালিমা ছেয়ে যায়, আর মন দুঃখ বেদনায় ভরে যায়।
اَوَمَنْ يُّنَشَّؤُا فِى الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِى الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِيْنٍ ( الزخرف: ١٨ )
তারা কি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে এমন সন্তান যে অলংকারে লালিত পালিত হয়, আর বিতর্ককালে বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে অসমর্থ?
وَجَعَلُوا الْمَلٰۤىِٕكَةَ الَّذِيْنَ هُمْ عِبٰدُ الرَّحْمٰنِ اِنَاثًا ۗ اَشَهِدُوْا خَلْقَهُمْ ۗسَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْٔـَلُوْنَ ( الزخرف: ١٩ )
তারা দয়াময়ের বান্দাহ্ ফেরেশতাদেরকে নারী গণ্য করে। তারা কি ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি সরাসরি দেখেছে? তাদের সাক্ষ্য লিখে রাখা হবে এবং তারা জিজ্ঞাসিত হবে।
وَقَالُوْا لَوْ شَاۤءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنٰهُمْ ۗمَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ اِنْ هُمْ اِلَّا يَخْرُصُوْنَۗ ( الزخرف: ٢٠ )
তারা আরো বলে- দয়াময় আল্লাহ ইচ্ছে করলে আমরা ওদের পূঁজা করতাম না। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা শুধু আন্দাজ অনুমানে কথা বলে।