وَاِذْ اَوْحَيْتُ اِلَى الْحَوَارِيّٖنَ اَنْ اٰمِنُوْا بِيْ وَبِرَسُوْلِيْ ۚ قَالُوْٓا اٰمَنَّا وَاشْهَدْ بِاَنَّنَا مُسْلِمُوْنَ ( المائدة: ١١١ )
স্মরণ কর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে হুকুম করেছিলাম যে, আমার প্রতি আর আমার রসূলের প্রতি ঈমান আন; তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম আর তুমি সাক্ষী থেক যে, আমরা মুসলিম।
اِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّوْنَ يٰعِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيْعُ رَبُّكَ اَنْ يُّنَزِّلَ عَلَيْنَا مَاۤىِٕدَةً مِّنَ السَّمَاۤءِ ۗقَالَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ ( المائدة: ١١٢ )
(স্মরণ কর) যখন হাওয়ারীরা বলেছিল, হে ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম! আপনার প্রতিপালক কি আমাদের নিকট আসমান থেকে খাঞ্চা ভর্তি খাদ্য পাঠাতে পারবেন? সে বলেছিল, তোমরা যদি মু’মিন হয়ে থাক তাহলে আল্লাহকে ভয় কর।
قَالُوْا نُرِيْدُ اَنْ نَّأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَىِٕنَّ قُلُوْبُنَا وَنَعْلَمَ اَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُوْنَ عَلَيْهَا مِنَ الشّٰهِدِيْنَ ( المائدة: ١١٣ )
তারা বলেছিল, আমরা চাই যে আমরা তাত্থেকে কিছু খাব, তাতে আমাদের অন্তর পরিতৃপ্তি লাভ করবে, আর আমরা জানতে পারব যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন, আর সে ব্যাপারে আমরা সাক্ষী হয়ে থাকব।
قَالَ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللهم رَبَّنَآ اَنْزِلْ عَلَيْنَا مَاۤىِٕدَةً مِّنَ السَّمَاۤءِ تَكُوْنُ لَنَا عِيْدًا لِّاَوَّلِنَا وَاٰخِرِنَا وَاٰيَةً مِّنْكَ وَارْزُقْنَا وَاَنْتَ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ ( المائدة: ١١٤ )
‘ঈসা ইবনু মারইয়াম বলেছিল, হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা।
قَالَ اللّٰهُ اِنِّيْ مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ ۚ فَمَنْ يَّكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَاِنِّيْٓ اُعَذِّبُهٗ عَذَابًا لَّآ اُعَذِّبُهٗٓ اَحَدًا مِّنَ الْعٰلَمِيْنَ ࣖ ( المائدة: ١١٥ )
আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদের কাছে তা নাযিল করব, অতঃপর তোমাদের কেউ কুফরী করলে আমি তাকে এমনভাবে শাস্তি প্রদান করব, যে শাস্তি আমি বিশ্বজগতের কাউকে দেইনি।
وَاِذْ قَالَ اللّٰهُ يٰعِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ ءَاَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوْنِيْ وَاُمِّيَ اِلٰهَيْنِ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗقَالَ سُبْحٰنَكَ مَا يَكُوْنُ لِيْٓ اَنْ اَقُوْلَ مَا لَيْسَ لِيْ بِحَقٍّ ۗاِنْ كُنْتُ قُلْتُهٗ فَقَدْ عَلِمْتَهٗ ۗتَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِيْ وَلَآ اَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِكَ ۗاِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ ( المائدة: ١١٦ )
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ ঈসা ইবনু মারইয়ামকে বললেন, তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে আর আমার মাতাকে ইলাহ বানিয়ে নাও।’ (উত্তরে) সে বলেছিল, ‘পবিত্র মহান তুমি, এমন কথা বলা আমার শোভা পায় না যে কথা বলার কোন অধিকার আমার নেই, আমি যদি তা বলতাম, সেটা তো তুমি জানতেই; আমার অন্তরে কী আছে তা তুমি জান কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে তা আমি জানি না, তুমি অবশ্যই যাবতীয় গোপনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পূর্ণরূপে ওয়াকেফহাল।
مَا قُلْتُ لَهُمْ اِلَّا مَآ اَمَرْتَنِيْ بِهٖٓ اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ رَبِّيْ وَرَبَّكُمْ ۚوَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا مَّا دُمْتُ فِيْهِمْ ۚ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِيْ كُنْتَ اَنْتَ الرَّقِيْبَ عَلَيْهِمْ ۗوَاَنْتَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ ( المائدة: ١١٧ )
তুমি আমাকে যে ব্যাপারে নির্দেশ করেছ তা ছাড়া আমি তাদেরকে অন্য কিছুই বলিনি, (তা এই) যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, আর তাদের কাজ কর্মের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম যদ্দিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম, অতঃপর যখন তুমি আমাকে উঠিয়ে নিলে, তখন তুমিই ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক, আর তুমি হলে প্রত্যেক ব্যাপারে সাক্ষী।
اِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَاِنَّهُمْ عِبَادُكَ ۚوَاِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَاِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ( المائدة: ١١٨ )
তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দাহ আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তুমি তো মহাপরাক্রান্ত মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।’
قَالَ اللّٰهُ هٰذَا يَوْمُ يَنْفَعُ الصّٰدِقِيْنَ صِدْقُهُمْ ۗ لَهُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَآ اَبَدًا ۗرَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ ۗذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ ( المائدة: ١١٩ )
আল্লাহ বলবেন, আজকের দিনে সত্যপন্থীদের সত্যপন্থা উপকার দিবে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা স্থায়ী হয়ে চিরকাল থাকবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এটাই হল মহা সাফল্য।
لِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا فِيْهِنَّ ۗوَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ࣖ ( المائدة: ١٢٠ )
আসমানসমূহের আর যমীনের আর এদের মাঝে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই, আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।