وَجَعَلْنَا فِى الْاَرْضِ رَوَاسِيَ اَنْ تَمِيْدَ بِهِمْۖ وَجَعَلْنَا فِيْهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّهُمْ يَهْتَدُوْنَ ( الأنبياء: ٣١ )
আর পৃথিবীতে আমি স্থাপন করেছি সুদৃঢ় পর্বত যাতে পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে নড়াচড়া না করে। আর তাতে সৃষ্টি করেছি প্রশস্ত পথ যাতে তারা পথ পেতে পারে।
وَجَعَلْنَا السَّمَاۤءَ سَقْفًا مَّحْفُوْظًاۚ وَهُمْ عَنْ اٰيٰتِهَا مُعْرِضُوْنَ ( الأنبياء: ٣٢ )
আর আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ, কিন্তু এ সবের নিদর্শন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।
وَهُوَ الَّذِيْ خَلَقَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَۗ كُلٌّ فِيْ فَلَكٍ يَّسْبَحُوْنَ ( الأنبياء: ٣٣ )
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন, সূর্য আর চন্দ্র, প্রত্যেকেই তার চক্রাকার পথে সাঁতার কাটছে।
وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَۗ اَفَا۟ىِٕنْ مِّتَّ فَهُمُ الْخٰلِدُوْنَ ( الأنبياء: ٣٤ )
তোমার পূর্বেও আমি কোন মানুষকে চিরস্থায়ী করিনি। তুমি যদি মারা যাও, তাহলে তারা কি চিরস্থায়ী হবে?
كُلُّ نَفْسٍ ذَاۤىِٕقَةُ الْمَوْتِۗ وَنَبْلُوْكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ۗوَاِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ ( الأنبياء: ٣٥ )
প্রত্যেক আত্মাকে মৃত্যু আস্বাদন করত হবে। আমি তোমাদেরকে ভাল ও মন্দ (উভয়টি দিয়ে এবং উভয় অবস্থায় ফেলে এর) দ্বারা পরীক্ষা করি। আমার কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।
وَاِذَا رَاٰكَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْٓا اِنْ يَّتَّخِذُوْنَكَ اِلَّا هُزُوًاۗ اَهٰذَا الَّذِيْ يَذْكُرُ اٰلِهَتَكُمْۚ وَهُمْ بِذِكْرِ الرَّحْمٰنِ هُمْ كٰفِرُوْنَ ( الأنبياء: ٣٦ )
কাফিররা যখন তোমাকে দেখে, তখন তারা তোমাকে একমাত্র উপহাসের পাত্র হিসেবেই গণ্য করে। (আর তারা বলে) ‘এই কি সেই লোক যে তোমাদের দেবতাগুলোর ব্যাপারে কথা বলে? অথচ এই লোকগুলোই ‘রহমান’ (শব্দটির) উল্লেখকে অগ্রাহ্য করে।
خُلِقَ الْاِنْسَانُ مِنْ عَجَلٍۗ سَاُورِيْكُمْ اٰيٰتِيْ فَلَا تَسْتَعْجِلُوْنِ ( الأنبياء: ٣٧ )
মানুষকে তাড়াহুড়াকারী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনগুলো দেখাব (যে সব অলৌকিক ব্যাপার বদর ও অন্যান্য যুদ্ধে কাফিরদেরকে দেখানো হয়েছিল), কাজেই তোমরা আমাকে জলদি করতে বল না।
وَيَقُوْلُوْنَ مَتٰى هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ( الأنبياء: ٣٨ )
আর তারা বলে ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে (বল) প্রতিশ্রুতি কখন বাস্তবে পরিণত হবে?’
لَوْ يَعْلَمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا حِيْنَ لَا يَكُفُّوْنَ عَنْ وُّجُوْهِهِمُ النَّارَ وَلَا عَنْ ظُهُوْرِهِمْ وَلَا هُمْ يُنْصَرُوْنَ ( الأنبياء: ٣٩ )
অবিশ্বাসীরা যদি (সে সময়ের কথা) জানত যখন তারা তাদের মুখ হতে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না, আর তাদের পিঠ থেকেও না, আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
بَلْ تَأْتِيْهِمْ بَغْتَةً فَتَبْهَتُهُمْ فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ رَدَّهَا وَلَا هُمْ يُنْظَرُوْنَ ( الأنبياء: ٤٠ )
বরং তা তাদের উপর হঠাৎ এসে যাবে আর তা তাদেরকে হতবুদ্ধি করে দেবে। অতঃপর তারা তা রোধ করতে পারবে না, আর তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না।