وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِاِيْمَانٍ اَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَآ اَلَتْنٰهُمْ مِّنْ عَمَلِهِمْ مِّنْ شَيْءٍۚ كُلُّ امْرِئٍ ۢبِمَا كَسَبَ رَهِيْنٌ ( الطور: ٢١ )
যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান সন্ততিরা ঈমানের সাথে পিতামাতাকে অনুসরণ করে, আমি তাদের সাথে তাদের সন্তান সন্ততিকে মিলিত করব। তাদের ‘আমালের কোন কিছু থেকেই আমি তাদেরকে বঞ্চিত করব না। প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়বদ্ধ।
وَاَمْدَدْنٰهُمْ بِفَاكِهَةٍ وَّلَحْمٍ مِّمَّا يَشْتَهُوْنَ ( الطور: ٢٢ )
আমি তাদেরকে দিব ফলমূল আর গোশত যা তারা পছন্দ করবে।
يَتَنَازَعُوْنَ فِيْهَا كَأْسًا لَّا لَغْوٌ فِيْهَا وَلَا تَأْثِيْمٌ ( الطور: ٢٣ )
তারা সেখানে পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করবে পানপাত্র, থাকবে না সেখানে কোন বেহুদা বকবকানি, থাকবে না কোন পাপের কাজ।
وَيَطُوْفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ كَاَنَّهُمْ لُؤْلُؤٌ مَّكْنُوْنٌۚ ( الطور: ٢٤ )
তাদের চতুর্দিকে ঘুর ঘুর ক’রে তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে কিশোরেরা (যারা এতই সুন্দর) যেন সযত্নে লুকিয়ে রাখা মণিমুক্তা।
وَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰى بَعْضٍ يَّتَسَاۤءَلُوْنَ ( الطور: ٢٥ )
তারা পরস্পরের নিকট এগিয়ে গিয়ে একে অপরকে জিজ্ঞেস করবে,
قَالُوْٓا اِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِيْٓ اَهْلِنَا مُشْفِقِيْنَ ( الطور: ٢٦ )
তারা বলবে, ‘পূর্বে আমরা আমাদের পরিবারে (দুনিয়াবী নানা কারণে ও আখিরাতের ‘আযাবের আশংকায়) ভয় ভীতির মধ্যে ছিলাম।
فَمَنَّ اللّٰهُ عَلَيْنَا وَوَقٰىنَا عَذَابَ السَّمُوْمِ ( الطور: ٢٧ )
অবশেষে আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন আর আমাদেরকে ঝলসে দেয়া বাতাসের ‘আযাব থেকে রক্ষা করেছেন।
اِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلُ نَدْعُوْهُۗ اِنَّهٗ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيْمُ ( الطور: ٢٨ )
পূর্বে আমরা তাঁর কাছেই দু‘আ করতাম, তিনি অতি অনুগ্রহকারী, পরম দয়াবান।
فَذَكِّرْ فَمَآ اَنْتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَّلَا مَجْنُوْنٍۗ ( الطور: ٢٩ )
কাজেই তুমি উপদেশ দিতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণকও নও, আর পাগলও নও।
اَمْ يَقُوْلُوْنَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِهٖ رَيْبَ الْمَنُوْنِ ( الطور: ٣٠ )
তারা কি বলে সে একজন কবি, যার জন্য আমরা কালচক্রের (বিপদাপদের) অপেক্ষা করছি।