তারা বলে, ইয়াহূদী এবং নাসারাগণ ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, ওটা তাদের আকাঙ্ক্ষা মাত্র। বল, ‘যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে নিজেদের দলীল পেশ কর’।
বরং যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে আর সৎকর্মশীল হয়, তার জন্য তার প্রতিপালকের নিকট পুণ্যফল রয়েছে, তাদের কোন ভয় নেই, তাদের কোন দুঃখ নেই।
আর ইয়াহূদীরা বলে যে, নাসারাদের মাযহাবের কোন ভিত্তি নেই; নাসারারা বলে যে, ইয়াহূদীদের মাযহাবের কোন ভিত্তি নেই, অথচ তারা কিতাব পাঠ করে, এভাবে যারা কিছু জানে না তারাও ওদের মতই বলে, যার সম্বন্ধে তারা মতবিরোধ করছে, আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন তাদের মধ্যে সেই বিষয়ের সমাধান করবেন।
তার চেয়ে বড় যালেম কে, যে ব্যক্তি আল্লাহর মাসজিদগুলোতে আল্লাহর নাম নিতে বাধা দেয় এবং ওগুলোর ধ্বংস সাধনের চেষ্টা করে? অথচ ভয়ে ভীত না হয়ে তাদের জন্য মাসজিদে প্রবেশ সঙ্গত ছিল না, এদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা এবং পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
পূর্ব পশ্চিম আল্লাহরই, সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ কর না কেন, সেদিকেই আছে আল্লাহর চেহারা, আল্লাহ সুবিস্তৃত, সর্বজ্ঞ।
তারা বলে যে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন, তিনি অতি পবিত্র, বরং যা কিছু আকাশসমূহে এবং ভূ-মন্ডলে আছে সমস্তই তাঁর, সকলই তাঁর অনুগত।
আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকারী, যখন কোন কাজ করতে মনস্থ করেন, তখন তার জন্য শুধু বলেন, হয়ে যাও, তক্ষুনি তা হয়ে যায়।
যারা কিছু জানে না তারা বলে, কেন আল্লাহ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না? কিংবা আমাদের নিকট কোন নির্দেশ কেন আসে না? এভাবে আগের লোকেরাও তাদের মতই বলত, এদের অন্তরগুলো একই রকম, আমি দৃঢ় বিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শনাবলী পরিষ্কারভাবে বিবৃত করেছি।
আমি তোমাকে সত্যদ্বীনসহ সুসংবাদদাতা এবং ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি, জাহান্নামীদের সম্বন্ধে তোমাকে কোন প্রশ্ন করা হবে না।
ইয়াহূদী ও নাসারারা তোমার প্রতি রাজী হবে না যে পর্যন্ত না তুমি তাদের ধর্মের আদর্শ গ্রহণ কর। বল, ‘আল্লাহর দেখানো পথই প্রকৃত সুপথ এবং তুমি যদি জ্ঞান আসার পরেও এদের ইচ্ছে অনুযায়ী চল, তাহলে তোমার জন্য আল্লাহর ক্রোধ হতে রক্ষা করার মত কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী থাকবে না’।