ফেরাউন বলল, ‘তাহলে আগের যুগের লোকেদের অবস্থা কী?’

মূসা বলল, ‘তার জ্ঞান আমার প্রতিপালকের কাছে (রক্ষিত) কিতাবে আছে, আমার প্রতিপালক ভুল করেন না, ভুলেও যান না।’

যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিছানা, আর তাতে তোমাদের জন্য ক’রে দিয়েছেন চলার পথ। আর আকাশ থেকে তিনি পানি বর্ষণ করেন আর তা দিয়ে আমি বিভিন্ন লতা-যুগল উদগত করি যার প্রত্যেকটি অন্যটি থেকে আলাদা।

তোমরা খাও আর তোমাদের গবাদি পশু চরাও, এতে বিবেকবানদের জন্য বহু নিদর্শন আছে।

মাটি থেকে আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব, আর তাত্থেকে তোমাদেরকে আবার বের করব।

আমি তাকে (অর্থাৎ ফেরাউনকে) আমার যাবতীয় নিদর্শন দেখিয়েছিলাম কিন্তু সে মিথ্যে মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করেছে ও অমান্য করেছে।

সে বলল, ‘হে মূসা! তুমি কি তোমার যাদুর বলে আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য এসেছ?

তাহলে আমরাও অবশ্য অবশ্যই তোমার কাছে অনুরূপ যাদু হাযির করব, কাজেই একটা মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের ও তোমাদের মিলিত হওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ কর যার খেলাফ আমরাও করব না, আর তুমিও করবে না।’

মূসা বলল, ‘তোমাদের (সঙ্গে) ওয়া‘দার নির্ধারিত সময় হল উৎসবের দিন আর দুপুরের আগেই মানুষ যেন পৌঁছে যায়।’

তখন ফেরাউন উঠে গেল, অতঃপর তার কলা-কৌশল একত্র করল, তারপর ফিরে এল।