وَالَّتِيْٓ اَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيْهَا مِنْ رُّوْحِنَا وَجَعَلْنٰهَا وَابْنَهَآ اٰيَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ ( الأنبياء: ٩١ )
স্মরণ কর সেই নারীর (অর্থাৎ মারইয়ামের) কথা যে তার সতীত্বকে সংরক্ষণ করেছিল। অতঃপর আমি তার ভিতর আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম আর তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্বজগতের জন্য নিদর্শন করেছিলাম।
اِنَّ هٰذِهٖٓ اُمَّتُكُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةًۖ وَّاَنَا۠ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْنِ ( الأنبياء: ٩٢ )
তোমাদের এ সব জাতিগুলো একই জাতি, আর আমি তোমাদের প্রতিপালক, কাজেই আমারই ‘ইবাদাত কর।
وَتَقَطَّعُوْٓا اَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْۗ كُلٌّ اِلَيْنَا رَاجِعُوْنَ ࣖ ( الأنبياء: ٩٣ )
কিন্তু তারা (পরবর্তীতে) নিজেদের কাজ-কর্মে পরস্পর পার্থক্য সৃষ্টি করেছে, তা সত্ত্বেও তারা সবাই আমার কাছে ফিরে আসবে।
فَمَنْ يَّعْمَلْ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا كُفْرَانَ لِسَعْيِهٖۚ وَاِنَّا لَهٗ كَاتِبُوْنَ ( الأنبياء: ٩٤ )
কাজেই কেউ যদি মু’মিন হয়ে সৎ কাজ করে, তবে তার প্রচেষ্টা অস্বীকার করা হবে না, আমি তা তার জন্য লিখে রাখি।
وَحَرَامٌ عَلٰى قَرْيَةٍ اَهْلَكْنٰهَآ اَنَّهُمْ لَا يَرْجِعُوْنَ ( الأنبياء: ٩٥ )
আমি যে সব জনবসতি ধ্বংস করেছি তাদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে যে তারা আর ফিরে আসবে না।
حَتّٰىٓ اِذَا فُتِحَتْ يَأْجُوْجُ وَمَأْجُوْجُ وَهُمْ مِّنْ كُلِّ حَدَبٍ يَّنْسِلُوْنَ ( الأنبياء: ٩٦ )
এমনকি (তখনও তারা ফিরে আসবে না) যখন ইয়া’জূজ ও মা’জূজের জন্য (প্রাচীর) খুলে দেয়া হবে আর তারা প্রতিটি পাহাড় কেটে ছুটে আসবে।
وَاقْتَرَبَ الْوَعْدُ الْحَقُّ فَاِذَا هِيَ شَاخِصَةٌ اَبْصَارُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۗ يٰوَيْلَنَا قَدْ كُنَّا فِيْ غَفْلَةٍ مِّنْ هٰذَا بَلْ كُنَّا ظٰلِمِيْنَ ( الأنبياء: ٩٧ )
সত্য ওয়া‘দার (পূর্ণতার) সময় ঘনিয়ে আসবে, তখন আতঙ্কে কাফিরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। (তখন তারা বলবে) হায়! আমরা তো এ ব্যাপারে উদাসীন ছিলাম, না, আমরা ছিলাম অন্যায়কারী।
اِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ حَصَبُ جَهَنَّمَۗ اَنْتُمْ لَهَا وَارِدُوْنَ ( الأنبياء: ٩٨ )
তোমরা (কাফিররা) আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদের ‘ইবাদাত কর সেগুলো জাহান্নামের জ্বালানী। তাতে তোমরা প্রবেশ করবে।
لَوْ كَانَ هٰٓؤُلَاۤءِ اٰلِهَةً مَّا وَرَدُوْهَاۗ وَكُلٌّ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ ( الأنبياء: ٩٩ )
তারা যদি ইলাহ হত, তাহলে তারা তাতে প্রবেশ করত না, তাতে তারা সবাই স্থায়ী হয়ে থাকবে।
لَهُمْ فِيْهَا زَفِيْرٌ وَّهُمْ فِيْهَا لَا يَسْمَعُوْنَ ( الأنبياء: ١٠٠ )
সেখানে তারা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদবে, সেখানে কিছুই শুনবে না।