وَجَاۤءَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَاۤىِٕقٌ وَّشَهِيْدٌ ( ق: ٢١ )
(সেদিন) প্রত্যেক ব্যক্তি আসবে এমন অবস্থায় যে একজন (ফেরেশতা) তাকে হাঁকিয়ে নিয়ে আসবে আর একজন (ফেরেশতা) থাকবে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে।
لَقَدْ كُنْتَ فِيْ غَفْلَةٍ مِّنْ هٰذَا فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَاۤءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيْدٌ ( ق: ٢٢ )
(বলা হবে) ‘এ দিন সম্পর্কে তুমি ছিলে উদাসীন। তোমার সামনে যে পর্দা ছিল তা আমি সরিয়ে দিয়েছি। (সে কারণে) তোমার দৃষ্টি আজ খুব তীক্ষ্ম।
وَقَالَ قَرِيْنُهٗ هٰذَا مَا لَدَيَّ عَتِيْدٌۗ ( ق: ٢٣ )
তার সঙ্গী (ফেরেশতা) বলবে ‘এই যে আমার কাছে (‘আমালনামা) প্রস্তুত।’
اَلْقِيَا فِيْ جَهَنَّمَ كُلَّ كَفَّارٍ عَنِيْدٍ ( ق: ٢٤ )
(নির্দেশ দেয়া হবে) তোমরা উভয়ে প্রত্যেক অবাধ্য কাফিরকে নিক্ষেপ কর জাহান্নামে।
مَنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ مُّرِيْبٍۙ ( ق: ٢٥ )
(যারা ছিল) কল্যাণের প্রতিবন্ধক, সীমালঙ্ঘনকারী ও সন্দিগ্ধ চিত্ত।
ۨالَّذِيْ جَعَلَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَ فَاَلْقِيٰهُ فِى الْعَذَابِ الشَّدِيْدِ ( ق: ٢٦ )
যে আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছিল। কাজেই তোমরা উভয়ে তাকে কঠিন ‘আযাবে নিক্ষেপ কর।
۞ قَالَ قَرِيْنُهٗ رَبَّنَا مَآ اَطْغَيْتُهٗ وَلٰكِنْ كَانَ فِيْ ضَلٰلٍۢ بَعِيْدٍ ( ق: ٢٧ )
তার সঙ্গী বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাকে বিদ্রোহী বানাইনি বরং সে নিজেই ছিল সুদূর গুমরাহীর মধ্যে।’
قَالَ لَا تَخْتَصِمُوْا لَدَيَّ وَقَدْ قَدَّمْتُ اِلَيْكُمْ بِالْوَعِيْدِ ( ق: ٢٨ )
আল্লাহ বলবেন, ‘আমার সামনে বাদানুবাদ করো না, আমি আগেই তোমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
مَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ وَمَآ اَنَا۠ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ ࣖ ( ق: ٢٩ )
আমার কথা কক্ষনো বদলে না, আর আমি আমার বান্দাহদের প্রতি যুলমকারীও নই।
يَوْمَ نَقُوْلُ لِجَهَنَّمَ هَلِ امْتَلَـْٔتِ وَتَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَّزِيْدٍ ( ق: ٣٠ )
সে দিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করব, ‘তুমি কি পরিপূর্ণ হয়েছ’? সে বলবে, ‘আরো বেশি আছে কি?’