وَاِنَّ كُلًّا لَّمَّا لَيُوَفِّيَنَّهُمْ رَبُّكَ اَعْمَالَهُمْ ۗاِنَّهٗ بِمَا يَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ ( هود: ١١١ )
এতে সন্দেহ নেই যে, তোমার প্রতিপালক প্রত্যেককেই তাদের ‘আমালের প্রতিফল অবশ্য অবশ্যই পুরোপুরি দান করবেন, তারা যা করে সে বিষয়ে তিনি পূর্ণ ওয়াকিফহাল।
فَاسْتَقِمْ كَمَآ اُمِرْتَ وَمَنْ تَابَ مَعَكَ وَلَا تَطْغَوْاۗ اِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ ( هود: ١١٢ )
কাজেই তুমি ও তোমার সাথে যারা (আল্লাহর দিকে) তাওবা করেছে সুদৃঢ় হয়ে থাক আল্লাহ যেভাবে তোমাকে আদেশ দিয়েছেন, আর সীমালঙ্ঘন করো না। তোমরা যা কিছু কর তিনি তা ভালভাবেই দেখেন।
وَلَا تَرْكَنُوْٓا اِلَى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا فَتَمَسَّكُمُ النَّارُۙ وَمَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ اَوْلِيَاۤءَ ثُمَّ لَا تُنْصَرُوْنَ ( هود: ١١٣ )
তোমরা যালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, তাহলে আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে, আর তখন আল্লাহ ছাড়া কেউ তোমাদের অভিভাবক থাকবে না, অত;পর তোমাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।
وَاَقِمِ الصَّلٰوةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ الَّيْلِ ۗاِنَّ الْحَسَنٰتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّاٰتِۗ ذٰلِكَ ذِكْرٰى لِلذَّاكِرِيْنَ ( هود: ١١٤ )
তুমি নামায প্রতিষ্ঠা কর দিনের দু’ প্রান্ত সময়ে আর কিছুটা রাত অতিবাহিত হওয়ার পর, পূণ্যরাজি অবশ্যই পাপরাশিকে দূর করে দেয়, এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।
وَاصْبِرْ فَاِنَّ اللّٰهَ لَا يُضِيْعُ اَجْرَ الْمُحْسِنِيْنَ ( هود: ١١٥ )
তুমি ধৈর্য ধর, কারণ আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের কর্মফল কখনও বিনষ্ট করেন না।
فَلَوْلَا كَانَ مِنَ الْقُرُوْنِ مِنْ قَبْلِكُمْ اُولُوْا بَقِيَّةٍ يَّنْهَوْنَ عَنِ الْفَسَادِ فِى الْاَرْضِ اِلَّا قَلِيْلًا مِّمَّنْ اَنْجَيْنَا مِنْهُمْ ۚوَاتَّبَعَ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَآ اُتْرِفُوْا فِيْهِ وَكَانُوْا مُجْرِمِيْنَ ( هود: ١١٦ )
তাহলে তোমাদের পূর্ব যুগের লোকদের মধ্যে এমন সৎকর্মশীল কেন হয়নি যারা যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করা হতে বাধা দিত? এমন লোক কমই ছিল আর তাদেরকে আমি বাঁচিয়ে নিয়েছিলাম। যালিমরা তো তাদেরকে দেয়া সামগ্রীর সুখ স্বাচ্ছন্দ্যেই লিপ্ত থাকতো আর তারা ছিল অপরাধী।
وَمَا كَانَ رَبُّكَ لِيُهْلِكَ الْقُرٰى بِظُلْمٍ وَّاَهْلُهَا مُصْلِحُوْنَ ( هود: ١١٧ )
তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, তিনি অন্যায়ভাবে কোন জনপদ ধ্বংস করবেন এমতাবস্থায় যে, তার অধিবাসীরা সদাচারী।
وَلَوْ شَاۤءَ رَبُّكَ لَجَعَلَ النَّاسَ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلَا يَزَالُوْنَ مُخْتَلِفِيْنَۙ ( هود: ١١٨ )
তোমার প্রতিপালক চাইলে মানুষকে অবশ্যই এক জাতি করতে পারতেন, কিন্তু তারা মতভেদ করতেই থাকবে।
اِلَّا مَنْ رَّحِمَ رَبُّكَ ۗوَلِذٰلِكَ خَلَقَهُمْ ۗوَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ لَاَمْلَـَٔنَّ جَهَنَّمَ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ ( هود: ١١٩ )
তবে তোমার প্রতিপালক যাদের প্রতি দয়া করেন তারা (মতবিরোধ করবে) না। এই উদ্দেশ্যেই তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমার প্রতিপালকের এ বাণী পূর্ণ হবেই যে, আমি জাহান্নামকে জ্বিন আর মানুষ দিয়ে অবশ্য অবশ্যই ভরে দেব।
وَكُلًّا نَّقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ اَنْۢبَاۤءِ الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهٖ فُؤَادَكَ وَجَاۤءَكَ فِيْ هٰذِهِ الْحَقُّ وَمَوْعِظَةٌ وَّذِكْرٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ ( هود: ١٢٠ )
রসূলদের যে সব সংবাদসমূহ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করলাম, এর দ্বারা আমি তোমার দিলকে মযবুত করছি, এতে তুমি প্রকৃত সত্যের জ্ঞান লাভ করবে আর মু’মিনদের জন্য এটা উপদেশ ও স্মারক।