আর গবাদি পশুর ভিতরে তোমাদের জন্য আছে অবশ্যই শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত। তাদের পেটে যা আছে তাত্থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই (দুধ) আর ওতে তোমাদের জন্য আছে বহুবিধ উপকার। তোমরা তাথেকে খাও (গোশত)।
আর ওতে আর নৌযানে তোমরা আরোহণ কর।
আমি নূহকে তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল ; ‘হে আমার জাতি! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই, তোমরা কি (তাঁকে) ভয় করবে না?’
তার সম্প্রদায়ের প্রধানগণ যারা কুফুরী করেছিল- বলেছিল ; ‘এতো তোমাদের মত মানুষ ছাড়া কিছুই না, সে তোমাদের উপর প্রাধান্য লাভ করতে চায়, আল্লাহ (কাউকে নবীরূপে পাঠানোর) ইচ্ছে করলে তো তিনি ফেরেশতা পাঠাতেন, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের সময়ে এ সব কথা তো শুনিনি।’
এতো এমন লোক যাকে পাগলামিতে পেয়েছে, কাজেই তার ব্যাপারে তোমরা কিছু কাল অপেক্ষা কর।
নূহ বলল ; ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সাহায্য কর, কারণ তারা আমাকে মিথ্যেবাদী বলছে।’
তখন আমি তার কাছে ওয়াহী পাঠালাম- আমার দৃষ্টির সম্মুখে আমার নির্দেশ অনুযায়ী নৌযান তৈরি কর, অতঃপর যখন আমার নির্দেশ আসবে আর উনুন (পানিতে) উথলে উঠবে, তখন নৌকায় তুলে নাও প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া আর তোমার পরিবারবর্গকে, তাদের মধ্যে যাদের বিপক্ষে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে। আর অন্যায়কারীদের পক্ষে আমার নিকট আবেদন করো না, তারা (বানে) ডুববেই।
যখন তুমি নৌযানে উঠে যাবে, তুমি আর তোমার সঙ্গীরা- তখন বলবে ; ‘সকল প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে যালিম সম্প্রদায় থেকে উদ্ধার করেছেন।’
আর বলো ; হে আমার প্রতিপালক! আমাকে কল্যাণকরভাবে নামিয়ে দাও, নামানোতে তুমিই সর্বোত্তম।
এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে (মানুষের বুঝার জন্য), আমি (মানুষকে) পরীক্ষা করি।