وَمَنْ يَّكْسِبْ اِثْمًا فَاِنَّمَا يَكْسِبُهٗ عَلٰى نَفْسِهٖ ۗ وَكَانَ اللّٰهُ عَلِيْمًا حَكِيْمًا ( النساء: ١١١ )
এবং যে ব্যক্তি কোন পাপকাজ করে, সে নিজের বিরুদ্ধেই তা করে, বস্তুতঃ আল্লাহ মহাবিজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
وَمَنْ يَّكْسِبْ خَطِيْۤـَٔةً اَوْ اِثْمًا ثُمَّ يَرْمِ بِهٖ بَرِيْۤـًٔا فَقَدِ احْتَمَلَ بُهْتَانًا وَّاِثْمًا مُّبِيْنًا ࣖ ( النساء: ١١٢ )
যে ব্যক্তি কোন ত্রুটি কিংবা পাপ ক’রে তা কোন নির্দোষ ব্যক্তির উপর চাপিয়ে দেয়, সে তো জ্বলন্ত অপবাদ এবং সুস্পষ্ট গুনাহ নিজের উপর চাপিয়ে নেয়।
وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهٗ لَهَمَّتْ طَّاۤىِٕفَةٌ مِّنْهُمْ اَنْ يُّضِلُّوْكَۗ وَمَا يُضِلُّوْنَ اِلَّآ اَنْفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّوْنَكَ مِنْ شَيْءٍ ۗ وَاَنْزَلَ اللّٰهُ عَلَيْكَ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُۗ وَكَانَ فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكَ عَظِيْمًا ( النساء: ١١٣ )
যদি তোমার প্রতি আল্লাহর করুণা এবং দয়া না হত, তবে তাদের একদল তো তোমাকে পথভ্রষ্ট করতেই চেয়েছিল; বস্তুতঃ তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে পথভ্রষ্ট করে না আর তারা তোমার কিছুই অনিষ্ট করতে পারবে না, কারণ আল্লাহ তোমার প্রতি কিতাব ও হিকমাত নাযিল করেছেন এবং তুমি যা জানতে না তা তোমাকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং তোমার উপর রয়েছে আল্লাহর অপরিসীম অনুগ্রহ।
۞ لَا خَيْرَ فِيْ كَثِيْرٍ مِّنْ نَّجْوٰىهُمْ اِلَّا مَنْ اَمَرَ بِصَدَقَةٍ اَوْ مَعْرُوْفٍ اَوْ اِصْلَاحٍۢ بَيْنَ النَّاسِۗ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ ابْتِغَاۤءَ مَرْضَاتِ اللّٰهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمًا ( النساء: ١١٤ )
তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শের মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, কিন্তু কল্যাণ আছে যে ব্যক্তি দান-খয়রাত অথবা কোন সৎকাজের কিংবা লোকেদের মধ্যে মিলমিশের নির্দেশ দেয়। যে কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি সাধন উদ্দেশে এমন কাজ করবে, আমি তাকে মহা পুরস্কার দান করব।
وَمَنْ يُّشَاقِقِ الرَّسُوْلَ مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدٰى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ نُوَلِّهٖ مَا تَوَلّٰى وَنُصْلِهٖ جَهَنَّمَۗ وَسَاۤءَتْ مَصِيْرًا ࣖ ( النساء: ١١٥ )
যে ব্যক্তি সত্য পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রসূলের বিরোধিতা করে এবং মু’মিনদের পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে সে পথেই ফিরাব যে পথে সে ফিরে যায়, আর তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করব, কত মন্দই না সে আবাস!
اِنَّ اللّٰهَ لَا يَغْفِرُ اَنْ يُّشْرَكَ بِهٖ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ يَّشَاۤءُ ۗ وَمَنْ يُّشْرِكْ بِاللّٰهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا ۢ بَعِيْدًا ( النساء: ١١٦ )
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না, এছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করেন এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে, সে চরমভাবে গোমরাহীতে পতিত হল।
اِنْ يَّدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖٓ اِلَّآ اِنَاثًاۚ وَاِنْ يَّدْعُوْنَ اِلَّا شَيْطٰنًا مَّرِيْدًاۙ ( النساء: ١١٧ )
তারা আল্লাহকে ছেড়ে শুধু কতকগুলো দেবীরই পূজা করে, তারা কেবল আল্লাহদ্রোহী শায়ত্বনের পূজা করে।
لَّعَنَهُ اللّٰهُ ۘ وَقَالَ لَاَتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيْبًا مَّفْرُوْضًاۙ ( النساء: ١١٨ )
আল্লাহ তাকে লা‘নাত করেছেন কারণ সে বলেছিল, ‘আমি তোমার বান্দাদের থেকে নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী হিসেবে গ্রহণ করব।’
وَّلَاُضِلَّنَّهُمْ وَلَاُمَنِّيَنَّهُمْ وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ اٰذَانَ الْاَنْعَامِ وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللّٰهِ ۚ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطٰنَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا ( النساء: ١١٩ )
তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই বহু প্রলোভন দেব এবং তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা জন্তু-জানোয়ারের কান ছেদন করবে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত।
يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيْهِمْۗ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطٰنُ اِلَّا غُرُوْرًا ( النساء: ١٢٠ )
সে তাদেরকে আশ্বাস দেয়, মিথ্যা প্রলোভন দেয়, বস্তুতঃ শয়ত্বান তাদেরকে যে আশ্বাস দেয় তা ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়।