وَقَالُوْا لَوْلَا نُزِّلَ هٰذَا الْقُرْاٰنُ عَلٰى رَجُلٍ مِّنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيْمٍ ( الزخرف: ٣١ )
তারা বলল- এ কুরআন (মক্কা ও তায়েফ এ) দু’ জনপদের কোন গণ্যমান্য ব্যক্তির উপর কেন অবতীর্ণ হল না?
اَهُمْ يَقْسِمُوْنَ رَحْمَتَ رَبِّكَۗ نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَّعِيْشَتَهُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَاۙ وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجٰتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِيًّا ۗوَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ ( الزخرف: ٣٢ )
তোমার প্রতিপালকের রহমত কি তারা বণ্টন করে (যে তাদের মর্জিমত কুরআন নাযিল করতে হবে)? তাদের মাঝে তাদের জীবিকা আমিই বণ্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং মর্যাদায় এককে অন্যের উপর উন্নত করি যাতে একে অপরের সহায়তা গ্রহণ করতে পারে। তারা যা সঞ্চয় করে, তোমার প্রতিপালকের রহমত তাত্থেকে উত্তম
وَلَوْلَآ اَنْ يَّكُوْنَ النَّاسُ اُمَّةً وَّاحِدَةً لَّجَعَلْنَا لِمَنْ يَّكْفُرُ بِالرَّحْمٰنِ لِبُيُوْتِهِمْ سُقُفًا مِّنْ فِضَّةٍ وَّمَعَارِجَ عَلَيْهَا يَظْهَرُوْنَۙ ( الزخرف: ٣٣ )
(সত্যকে অস্বীকার ক’রে) সব এক জাতিতে পরিণত হবে এ আশঙ্কা না থাকলে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে তাদেরকে অবশ্যই দিতাম তাদের গৃহের জন্য রৌপ্য নির্মিত ছাদ আর সিঁড়ি যাতে তারা আরোহণ করত।
وَلِبُيُوْتِهِمْ اَبْوَابًا وَّسُرُرًا عَلَيْهَا يَتَّكِـُٔوْنَۙ ( الزخرف: ٣٤ )
আর তাদের গৃহের জন্য দিতাম দরজা ও পালঙ্ক যাতে তারা হেলান দিয়ে বসত।
وَزُخْرُفًاۗ وَاِنْ كُلُّ ذٰلِكَ لَمَّا مَتَاعُ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۗوَالْاٰخِرَةُ عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِيْنَ ࣖ ( الزخرف: ٣٥ )
আর স্বর্ণ নির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আখিরাত তোমার প্রতিপালকের কাছে তাদেরই জন্য যারা (আল্লাহকে) ভয় করে।
وَمَنْ يَّعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمٰنِ نُقَيِّضْ لَهٗ شَيْطٰنًا فَهُوَ لَهٗ قَرِيْنٌ ( الزخرف: ٣٦ )
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য শয়ত্বানকে নিয়োজিত করি, অতঃপর সে হয় তার ঘনিষ্ঠ সহচর।
وَاِنَّهُمْ لَيَصُدُّوْنَهُمْ عَنِ السَّبِيْلِ وَيَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ ( الزخرف: ٣٧ )
তারাই মানুষকে সৎপথে চলতে অবশ্যই বাধা দেয়, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সঠিক পথে রয়েছে।
حَتّٰىٓ اِذَا جَاۤءَنَا قَالَ يٰلَيْتَ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِيْنُ ( الزخرف: ٣٨ )
অবশেষে সে যখন আমার কাছে আসবে, তখন শয়ত্বানকে বলবে, হায়! আমার ও তোমার মাঝে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত! কতই না নিকৃষ্ট সহচর সে!
وَلَنْ يَّنْفَعَكُمُ الْيَوْمَ اِذْ ظَّلَمْتُمْ اَنَّكُمْ فِى الْعَذَابِ مُشْتَرِكُوْنَ ( الزخرف: ٣٩ )
তোমাদের হা-হুতাশ আজ তোমাদের কোন কাজে আসবে না যেহেতু তোমরা সীমালঙ্ঘন করেছিলে। তোমরা হবে শাস্তির অংশীদার।
اَفَاَنْتَ تُسْمِعُ الصُّمَّ اَوْ تَهْدِى الْعُمْيَ وَمَنْ كَانَ فِيْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍ ( الزخرف: ٤٠ )
তুমি কি বধিরকে শুনাতে পারবে অথবা যে অন্ধ আর যে আছে সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টের মধ্যে তাকে সৎপথ দেখাতে পারবে?