فَفَتَحْنَآ اَبْوَابَ السَّمَاۤءِ بِمَاۤءٍ مُّنْهَمِرٍۖ ( القمر: ١١ )
তখন আমি আকাশের দরজাগুলো খুলে দিয়ে মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষিয়েছিলাম।
وَّفَجَّرْنَا الْاَرْضَ عُيُوْنًا فَالْتَقَى الْمَاۤءُ عَلٰٓى اَمْرٍ قَدْ قُدِرَ ۚ ( القمر: ١٢ )
আর যমীন থেকে উৎসারিত করেছিলাম ঝর্ণাধারা, অতঃপর (সব) পানি মিলিত হল যে পরিমাণ (পূর্বেই) নির্ধারিত করা হয়েছিল।
وَحَمَلْنٰهُ عَلٰى ذَاتِ اَلْوَاحٍ وَّدُسُرٍۙ ( القمر: ١٣ )
আর আমি নূহকে বহন করলাম কাষ্ঠ আর কীলক যুক্ত (নৌযানে)।
تَجْرِيْ بِاَعْيُنِنَاۚ جَزَاۤءً لِّمَنْ كَانَ كُفِرَ ( القمر: ١٤ )
যা আমার চোখের সামনে (ও আমার তত্ত্বাবধানে) ভেসে চলল সেই ব্যক্তির পক্ষে প্রতিশোধ হিসেবে যাকে অমান্য ও অস্বীকার করা হয়েছিল।
وَلَقَدْ تَّرَكْنٰهَآ اٰيَةً فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ ( القمر: ١٥ )
এ (ঘটনা) টিকে আমি (চিরকালের জন্য) নিদর্শন হিসেবে রেখে দিলাম, অতএব উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?
فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِيْ وَنُذُرِ ( القمر: ١٦ )
কত ভয়ংকর ছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন।
وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ ( القمر: ١٧ )
আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?
كَذَّبَتْ عَادٌ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِيْ وَنُذُرِ ( القمر: ١٨ )
‘আদ জাতি সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল, ফলে কত ভয়ংকর ছিল আমার ‘আযাব ও ভীতি প্রদর্শন।
اِنَّآ اَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيْحًا صَرْصَرًا فِيْ يَوْمِ نَحْسٍ مُّسْتَمِرٍّۙ ( القمر: ١٩ )
আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু এক অবিরাম অশুভ দিনে,
تَنْزِعُ النَّاسَۙ كَاَنَّهُمْ اَعْجَازُ نَخْلٍ مُّنْقَعِرٍ ( القمر: ٢٠ )
মানুষকে তা উৎপাটিত করেছিল যেন তারা উৎপাটিত খেজুর গাছের কান্ড।