قُلْ مَنْ يَّرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَاۤءِ وَالْاَرْضِ اَمَّنْ يَّمْلِكُ السَّمْعَ وَالْاَبْصَارَ وَمَنْ يُّخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَمَنْ يُّدَبِّرُ الْاَمْرَۗ فَسَيَقُوْلُوْنَ اللّٰهُ ۚفَقُلْ اَفَلَا تَتَّقُوْنَ ( يونس: ٣١ )
তাদের জিজ্ঞেস কর, ‘আকাশ আর যমীন হতে কে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা করে? কিংবা শ্রবণশক্তি ও দর্শনশক্তি কার মালিকানাধীন? আর মৃত থেকে জীবিতকে কে বের করেন আর কে মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন? যাবতীয় বিষয়ের শাসন ও নিয়ন্ত্রণ কার অধীনস্থ?’ তারা বলে উঠবে, ‘‘আল্লাহ’’। তাহলে তাদেরকে বল, ‘তবুও তোমরা তাক্বওয়াহ অবলম্বন করবে না?’
فَذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمُ الْحَقُّۚ فَمَاذَا بَعْدَ الْحَقِّ اِلَّا الضَّلٰلُ ۖفَاَنّٰى تُصْرَفُوْنَ ( يونس: ٣٢ )
তিনিই আল্লাহ, তোমাদের প্রকৃত প্রতিপালক। প্রকৃত সত্যের পর গুমারাহী ছাড়া আর কী থাকতে পারে? তোমাদেরকে কোনদিকে ঘুরানো হচ্ছে?
كَذٰلِكَ حَقَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ عَلَى الَّذِيْنَ فَسَقُوْٓا اَنَّهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ ( يونس: ٣٣ )
এভাবে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের ব্যাপারে তোমার প্রতিপালকের কথা সত্য সাব্যস্ত হয়েছে যে, তারা ঈমান আনবে না।
قُلْ هَلْ مِنْ شُرَكَاۤىِٕكُمْ مَّنْ يَّبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗۗ قُلِ اللّٰهُ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗ فَاَنّٰى تُؤْفَكُوْنَ ( يونس: ٣٤ )
বল ‘‘তোমরা যাদেরকে শরীক কর তাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে সৃষ্টির সূচনা করে এবং তার পুনরাবর্তনও ঘটাতে পারে?’’ বল ‘‘আল্লাহই সৃষ্টির সূচনা করেন এবং তার পুনরাবর্তন ঘটান।’’ তাহলে কীভাবে তোমরা বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছ (সত্য পথ থেকে)?
قُلْ هَلْ مِنْ شُرَكَاۤىِٕكُمْ مَّنْ يَّهْدِيْٓ اِلَى الْحَقِّۗ قُلِ اللّٰهُ يَهْدِيْ لِلْحَقِّۗ اَفَمَنْ يَّهْدِيْٓ اِلَى الْحَقِّ اَحَقُّ اَنْ يُّتَّبَعَ اَمَّنْ لَّا يَهِدِّيْٓ اِلَّآ اَنْ يُّهْدٰىۚ فَمَا لَكُمْۗ كَيْفَ تَحْكُمُوْنَ ( يونس: ٣٥ )
বল ‘‘তোমরা যাদেরকে শরীক কর তাদের কেউ কি সত্যের পথ দেখাতে পারে?’’ বল, ‘আল্লাহই সত্যের পথ দেখান।’ তবে যিনি সত্য পথে পরিচালিত করেন আনুগত্য লাভের তিনিই বেশি হাকদার, না কি সেই যাকে পথ না দেখালে পথ পায় না? তোমাদের হয়েছে কী? তোমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছ?
وَمَا يَتَّبِعُ اَكْثَرُهُمْ اِلَّا ظَنًّاۗ اِنَّ الظَّنَّ لَا يُغْنِيْ مِنَ الْحَقِّ شَيْـًٔاۗ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ ۢبِمَا يَفْعَلُوْنَ ( يونس: ٣٦ )
তাদের অধিকাংশই কেবল ধারণার অনুসরণ করে, সত্যের মুকাবালায় ধারণা কোন কাজে আসে না। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।
وَمَا كَانَ هٰذَا الْقُرْاٰنُ اَنْ يُّفْتَرٰى مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلٰكِنْ تَصْدِيْقَ الَّذِيْ بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيْلَ الْكِتٰبِ لَا رَيْبَ فِيْهِ مِنْ رَّبِّ الْعٰلَمِيْنَۗ ( يونس: ٣٧ )
এ কুরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো রচিত নয়। উপরন্তু তা পূর্বে যা নাযিল হয়েছিল তার সমর্থক আর বিস্তারিত ব্যাখ্যাকৃত কিতাব, এতে কোন সন্দেহ নেই, জগৎসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে (নাযিলকৃত)।
اَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُ ۗ قُلْ فَأْتُوْا بِسُوْرَةٍ مِّثْلِهٖ وَادْعُوْا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ( يونس: ٣٨ )
তারা কি এ কথা বলে যে, সে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)] এটা রচনা করেছে? বল, তাহলে তোমরাও এর মত একটা সূরাহ (রচনা করে) নিয়ে এসো আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাকে পার তাকে ডেকে নাও যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক [যে মুহাম্মাদ (সাঃ)-ই তা রচনা করেছেন]।
بَلْ كَذَّبُوْا بِمَا لَمْ يُحِيْطُوْا بِعِلْمِهٖ وَلَمَّا يَأْتِهِمْ تَأْوِيْلُهٗۗ كَذٰلِكَ كَذَّبَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الظّٰلِمِيْنَ ( يونس: ٣٩ )
বরং যে বিষয় তাদের জ্ঞানের সীমার মধ্যে আসে না, আর যার পরিণাম ফল এখনও উপস্থিত হয়নি তা তারা অস্বীকার করে। এভাবে তাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও মিথ্যা মনে ক’রে অমান্য করেছিল। এখন দেখ, এই যালিমদের পরিণতি কী হয়েছে!
وَمِنْهُمْ مَّنْ يُّؤْمِنُ بِهٖ وَمِنْهُمْ مَّنْ لَّا يُؤْمِنُ بِهٖۗ وَرَبُّكَ اَعْلَمُ بِالْمُفْسِدِيْنَ ࣖ ( يونس: ٤٠ )
এদের কিছু লোক এতে বিশ্বাস করে আর কতক এতে বিশ্বাস করে না। তোমার প্রতিপালক এই ফাসাদ সৃষ্টিকারী লোকদের সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবহিত।