قَالُوْا لَنْ نَّبْرَحَ عَلَيْهِ عٰكِفِيْنَ حَتّٰى يَرْجِعَ اِلَيْنَا مُوْسٰى ( طه: ٩١ )
তারা বলল, ‘আমাদের কাছে মূসা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা সদাসর্বদা এর সাথেই সংযুক্ত হয়ে থাকব।
قَالَ يٰهٰرُوْنُ مَا مَنَعَكَ اِذْ رَاَيْتَهُمْ ضَلُّوْٓا ۙ ( طه: ٩٢ )
সে (মূসা) বলল, ‘হে হারূন! তুমি যখন দেখলে যে, তারা গুমরাহ্ হয়ে গেছে তখন তোমাকে কে নিষেধ করল
اَلَّا تَتَّبِعَنِۗ اَفَعَصَيْتَ اَمْرِيْ ( طه: ٩٣ )
আমাকে অনুসরণ করতে? তাহলে তুমি কি আমার আদেশ অমান্য করলে?
قَالَ يَبْنَؤُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِيْ وَلَا بِرَأْسِيْۚ اِنِّيْ خَشِيْتُ اَنْ تَقُوْلَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِيْ ( طه: ٩٤ )
হারূন বলল, ‘হে আমার মায়ের পুত্র! আমার দাড়ি ধরে টেন না, আর আমার (মাথার) চুল ধরেও টেন না, আমি ভয় করেছিলাম তুমি বলবে যে, বানী ইসরাঈলের মাঝে তুমি বিভেদ সৃষ্টি করেছ আর তুমি আমার কথা পালন করনি।’
قَالَ فَمَا خَطْبُكَ يٰسَامِرِيُّ ( طه: ٩٥ )
মূসা বলল, ‘এখন তোমার ব্যাপারটা কী, হে সামিরী?’
قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ يَبْصُرُوْا بِهٖ فَقَبَضْتُ قَبْضَةً مِّنْ اَثَرِ الرَّسُوْلِ فَنَبَذْتُهَا وَكَذٰلِكَ سَوَّلَتْ لِيْ نَفْسِيْ ( طه: ٩٦ )
সে বলল, ‘আমি দেখেছি যা ওরা দেখেনি, অতঃপর আমি প্রেরিত ব্যক্তির (অর্থাৎ জিবরীলের) পদচিহ্ন থেকে এক মুঠ মাটি নিলাম, অতঃপর আমি তা নিক্ষেপ করলাম (বাছুরের প্রতিকৃতিতে)। আমার মন আমাকে এ মন্ত্রণাই দিল।’
قَالَ فَاذْهَبْ فَاِنَّ لَكَ فِى الْحَيٰوةِ اَنْ تَقُوْلَ لَا مِسَاسَۖ وَاِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَّنْ تُخْلَفَهٗۚ وَانْظُرْ اِلٰٓى اِلٰهِكَ الَّذِيْ ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا ۗ لَنُحَرِّقَنَّهٗ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهٗ فِى الْيَمِّ نَسْفًا ( طه: ٩٧ )
মূসা বলল, ‘তুই দূর হ! এ জীবনে তোর জন্য এ শাস্তিই থাকল যে, তুই বলবি- আমাকে স্পর্শ করো না, আর তোর জন্য একটা নির্দিষ্ট ওয়া‘দা আছে যার খেলাফ হবে না। আর তোর ইলাহর পানে চেয়ে দেখ যাকে তুই ঘিরে থাকতি, আমি তাকে অবশ্য অবশ্যই জ্বলন্ত আগুনে জ্বালিয়ে দেব, আর তাকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবশ্য অবশ্যই সাগরে নিক্ষেপ করব।’
اِنَّمَآ اِلٰهُكُمُ اللّٰهُ الَّذِيْ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۗ وَسِعَ كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا ( طه: ٩٨ )
তোমাদের ইলাহ একমাত্র আল্লাহ, যিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। যাবতীয় বিষয়ে তাঁর জ্ঞান পরিব্যাপ্ত।
كَذٰلِكَ نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ اَنْۢبَاۤءِ مَا قَدْ سَبَقَۚ وَقَدْ اٰتَيْنٰكَ مِنْ لَّدُنَّا ذِكْرًا ۚ ( طه: ٩٩ )
এভাবে পূর্বে যা ঘটে গেছে তার কিছু সংবাদ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি, আর আমি আমার নিকট থেকে তোমাকে দান করেছি উপদেশ (বা কুরআন)।
مَنْ اَعْرَضَ عَنْهُ فَاِنَّهٗ يَحْمِلُ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ وِزْرًا ( طه: ١٠٠ )
যে তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, কিয়ামাতের দিন সে (পাপের) বোঝা বহন করবে।