اِذْ عُرِضَ عَلَيْهِ بِالْعَشِيِّ الصّٰفِنٰتُ الْجِيَادُۙ ( ص: ٣١ )
যখন তার সামনে সন্ধ্যাকালে উৎকৃষ্ট জাতের দ্রুতগামী অশ্ব উপস্থিত করা হল,
فَقَالَ اِنِّيْٓ اَحْبَبْتُ حُبَّ الْخَيْرِ عَنْ ذِكْرِ رَبِّيْۚ حَتّٰى تَوَارَتْ بِالْحِجَابِۗ ( ص: ٣٢ )
তখন সে বলল- আমি আমার প্রতিপালকের স্মরণ হতে ধন-সম্পদকে বেশি ভালবেসে ফেলেছি, এমনকি সূর্য (রাতের) পর্দায় লুকিয়ে গেছে।
رُدُّوْهَا عَلَيَّ ۚفَطَفِقَ مَسْحًا ۢبِالسُّوْقِ وَالْاَعْنَاقِ ( ص: ٣٣ )
(সে তার সন্ধ্যাকালীন ‘ইবাদাত সম্পন্ন করে (বলল) ওগুলোকে আমার কাছে আবার এনে হাজির কর। তখন সে তাদের পায়ে ও গলায় হাত বুলাতে লাগল।
وَلَقَدْ فَتَنَّا سُلَيْمٰنَ وَاَلْقَيْنَا عَلٰى كُرْسِيِّهٖ جَسَدًا ثُمَّ اَنَابَ ( ص: ٣٤ )
আমি সুলাইমানকে পরীক্ষা করলাম (তার রাজত্ব কেড়ে নিয়ে) আর তার সিংহাসনের উপর রাখলাম একটি দেহ (শয়তানকে, কাজেই সুলাইমান কিছু সময়ের জন্য তার রাজত্ব হারাল) অতঃপর সে (আনুগত্য নিয়ে অনুশোচনা করে আল্লাহর পানে) প্রত্যাবর্তন করল (আর আল্লাহর অনুগ্রহে ফিরে পেল তার রাজত্ব ও সিংহাসন)।
قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَهَبْ لِيْ مُلْكًا لَّا يَنْۢبَغِيْ لِاَحَدٍ مِّنْۢ بَعْدِيْۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ ( ص: ٣٥ )
সে বলল- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আর আমাকে এমন রাজ্য দান কর যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভনীয় হবে না। তুমি হলে পরম দাতা।
فَسَخَّرْنَا لَهُ الرِّيْحَ تَجْرِيْ بِاَمْرِهٖ رُخَاۤءً حَيْثُ اَصَابَۙ ( ص: ٣٦ )
অতঃপর বাতাসকে তার অধীন করে দিলাম, তার আদেশে তা মৃদুমন্দ গতিতে প্রবাহিত হত, যেখানে সে ইচ্ছে করত।
وَالشَّيٰطِيْنَ كُلَّ بَنَّاۤءٍ وَّغَوَّاصٍۙ ( ص: ٣٧ )
আর শয়ত্বানদেরকেও (তার বশীভূত করে দিলাম), সব ছিল নির্মাতা ও ডুবুরী।
وَّاٰخَرِيْنَ مُقَرَّنِيْنَ فِى الْاَصْفَادِ ( ص: ٣٨ )
আর অন্যদেরকেও যারা ছিল শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
هٰذَا عَطَاۤؤُنَا فَامْنُنْ اَوْ اَمْسِكْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ( ص: ٣٩ )
(আমি তাকে বললাম) এ সব আমারই দান। এত্থেকে তুমি যাকে ইচ্ছে দাও, কিংবা (না দিয়ে) নিজের কাছে রেখে দাও, তোমাকে কোন হিসেব দিতে হবে না।
وَاِنَّ لَهٗ عِنْدَنَا لَزُلْفٰى وَحُسْنَ مَاٰبٍ ࣖ ( ص: ٤٠ )
তার জন্য আমার কাছে অবশ্যই আছে নৈকট্য আর উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল।