তাদের জন্য হবে জাহান্নামের বিছানা, আর উপরে ভাঁজের পর ভাঁজ করা অগ্নির আচ্ছাদন। আর এভাবেই আমি যালিমদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকি।
আর যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে- আমি কারো উপর সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেইনা- তারা হবে জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা হবে স্থায়ী।
তাদের অন্তর থেকে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দেব, তাদের পাদদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত হবে, আর তারা বলবে, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে এ পথ দেখিয়েছেন, আমরা কিছুতেই পথ পেতাম না যদি না আল্লাহ আমাদেরকে পথ দেখাতেন। আমাদের প্রতিপালকের রসূলগণ প্রকৃত সত্য নিয়েই এসেছিলেন। তাদেরকে আহবান করে জানানো হবে- ‘তোমরা (দুনিয়াতে) যে ‘আমাল করতে তার ফলে তোমরা এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী হয়েছ।’
জান্নাতবাসীরা জাহান্নামবাসীদেরকে সম্বোধন করে বলবে যে, ‘আমাদেরকে আমাদের প্রতিপালক যে ওয়া‘দা দিয়েছিলেন তা আমরা ঠিক ঠিক পেয়েছি। আর তোমরাও কি তোমাদের প্রতিপালকের ওয়া‘দা ঠিক মত পেয়েছ?’ তারা বলবে, ‘হাঁ’। তখন একজন ঘোষণাকারী তাদের মাঝে ঘোষণা করবে যে, যালিমদের উপর আল্লাহর অভিশাপ
যারা আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে আর তাকে বাঁকা করতে চায়, আর তারা পরকাল অস্বীকারকারী।
উভয় দলের মাঝে আছে পর্দা আর আ‘রাফে (জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী অংশ) কিছু লোক থাকবে যারা প্রত্যেক লোককে তার চিহ্ন দ্বারা চিনতে পারবে (যে সে জান্নাতের বাসিন্দা না জাহান্নামের)। জান্নাতবাসীদেরকে ডেকে তারা বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম’। তারা (আ‘রাফবাসীরা) তখনও জান্নাতে প্রবেশ করেনি কিন্তু তারা আশা করছে।
যখন তাদের দৃষ্টি অগ্নিবাসীদের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হবে তখন তারা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে যালিমদের সঙ্গী করো না।’
আ‘রাফবাসীরা যাদেরকে চিহ্ন দেখে চিনতে পারবে তাদেরকে ডেকে বলবে, ‘তোমাদের দলবল আর গর্ব-অহঙ্কার কোন কাজে আসল না।’
এরাই (অর্থাৎ জান্নাতবাসীরা) কি ঐ সব লোক যাদের ব্যাপারে তোমরা শপথ করে বলতে যে আল্লাহ তাদের প্রতি কোন দয়া দেখাবেন না। (আজ এদেরকেই বলা হল) তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর, তোমাদের কোন ভয় নেই, তোমরা দুঃখিতও হবে না।
জাহান্নামীরা জান্নাতীদের ডেকে বলবে, ‘আমাদেরকে কিছু পানি ঢেলে দাও কিংবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযক্ দিয়েছেন তাত্থেকে কিছু দাও।’ তারা বলবে, ‘আল্লাহ এ দু’টো কাফিরদের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।’