يٰٓاَهْلَ الْكِتٰبِ لِمَ تَلْبِسُوْنَ الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوْنَ الْحَقَّ وَاَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ ࣖ ( آل عمران: ٧١ )
হে আহলে কিতাব! কেন তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত করছ আর জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করছ।
وَقَالَتْ طَّاۤىِٕفَةٌ مِّنْ اَهْلِ الْكِتٰبِ اٰمِنُوْا بِالَّذِيْٓ اُنْزِلَ عَلَى الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَجْهَ النَّهَارِ وَاكْفُرُوْٓا اٰخِرَهٗ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَۚ ( آل عمران: ٧٢ )
আহলে কিতাবের একটা দল বলল, যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তার উপর দিনের শুরুতে তোমরা ঈমান আন এবং দিনের শেষে অস্বীকার (কুফরী) কর, হয়ত তারা (ইসলাম ত্যাগ করে) ফিরে আসবে।
وَلَا تُؤْمِنُوْٓا اِلَّا لِمَنْ تَبِعَ دِيْنَكُمْ ۗ قُلْ اِنَّ الْهُدٰى هُدَى اللّٰهِ ۙ اَنْ يُّؤْتٰىٓ اَحَدٌ مِّثْلَ مَآ اُوْتِيْتُمْ اَوْ يُحَاۤجُّوْكُمْ عِنْدَ رَبِّكُمْ ۗ قُلْ اِنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللّٰهِ ۚ يُؤْتِيْهِ مَنْ يَّشَاۤءُ ۗوَاللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ ۚ ( آل عمران: ٧٣ )
‘এবং তোমাদের দ্বীনের অনুসারী ছাড়া আর কাউকেও বিশ্বাস করো না। তাদেরকে বলে দাও, আল্লাহর (নির্দেশিত) পথই একমাত্র পথ; (এবং এটা আল্লাহর নীতি যে) একদিন তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছিল তা-ই অন্য কাউকে দেয়া হবে অথবা অন্য লোকেরা তোমাদের প্রতিপালকের সামনে তোমাদের বিরুদ্ধে পেশ করার জন্য মযবুত প্রমাণ পেয়ে যাবে। বল, ‘কল্যাণ আল্লাহরই হাতে, তিনি যাকে ইচ্ছে তা দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যশালী ও সর্বজ্ঞ’।
يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهٖ مَنْ يَّشَاۤءُ ۗوَاللّٰهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ ( آل عمران: ٧٤ )
তিনি যাকে ইচ্ছে নিজের দয়ার জন্য খাস করে বেছে নেন এবং আল্লাহ মহা কল্যাণের অধিকারী।
۞ وَمِنْ اَهْلِ الْكِتٰبِ مَنْ اِنْ تَأْمَنْهُ بِقِنْطَارٍ يُّؤَدِّهٖٓ اِلَيْكَۚ وَمِنْهُمْ مَّنْ اِنْ تَأْمَنْهُ بِدِيْنَارٍ لَّا يُؤَدِّهٖٓ اِلَيْكَ اِلَّا مَا دُمْتَ عَلَيْهِ قَاۤىِٕمًا ۗ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْا لَيْسَ عَلَيْنَا فِى الْاُمِّيّٖنَ سَبِيْلٌۚ وَيَقُوْلُوْنَ عَلَى اللّٰهِ الْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ ( آل عمران: ٧٥ )
আহলে কিতাবের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছে যে, যদি তাদের নিকট স্বর্ণের স্তুপ গচ্ছিত রাখ, তবে তোমাকে তা ফেরত দেবে, পক্ষান্তরে তাদের কেউ কেউ এমন যে, একটি দিনারও যদি তাদের নিকট গচ্ছিত রাখ, তার পেছনে লেগে না থাকলে সে তোমাকে তা ফেরত দেবে না, এটা এজন্য যে, তারা বলে, ‘নিরক্ষরদের প্রতি আমাদের কোন দায়-দায়িত্ব নেই’, বস্তুতঃ তারা জেনে শুনে আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যে বলে।
بَلٰى مَنْ اَوْفٰى بِعَهْدِهٖ وَاتَّقٰى فَاِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِيْنَ ( آل عمران: ٧٦ )
তবে হ্যাঁ, যে ব্যক্তি নিজের ওয়া‘দা পূর্ণ করবে এবং আল্লাহকে ভয় করে চলবে, নিশ্চয় আল্লাহ (এই) মুত্তাকীদেরকে ভালবাসেন।
اِنَّ الَّذِيْنَ يَشْتَرُوْنَ بِعَهْدِ اللّٰهِ وَاَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيْلًا اُولٰۤىِٕكَ لَا خَلَاقَ لَهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ اللّٰهُ وَلَا يَنْظُرُ اِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ وَلَا يُزَكِّيْهِمْ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ ( آل عمران: ٧٧ )
নিশ্চয় যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে, এরা আখেরাতের কোন অংশই পাবে না এবং আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না, বস্তুতঃ তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
وَاِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيْقًا يَّلْوٗنَ اَلْسِنَتَهُمْ بِالْكِتٰبِ لِتَحْسَبُوْهُ مِنَ الْكِتٰبِ وَمَا هُوَ مِنَ الْكِتٰبِۚ وَيَقُوْلُوْنَ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ ۚ وَيَقُوْلُوْنَ عَلَى اللّٰهِ الْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ ( آل عمران: ٧٨ )
এদের মধ্যে একদল আছে যারা কিতাবকে জিহবা দ্বারা বিকৃত করে যাতে তোমরা তাকে কিতাবের অংশ বলে মনে কর, মূলতঃ তা কিতাবের অংশ নয় এবং তারা বলে, ‘এটা আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ, বস্তুতঃ তা আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ নয়, তারা জেনে শুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে।
مَا كَانَ لِبَشَرٍ اَنْ يُّؤْتِيَهُ اللّٰهُ الْكِتٰبَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُوْلَ لِلنَّاسِ كُوْنُوْا عِبَادًا لِّيْ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلٰكِنْ كُوْنُوْا رَبَّانِيّٖنَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُوْنَ الْكِتٰبَ وَبِمَا كُنْتُمْ تَدْرُسُوْنَ ۙ ( آل عمران: ٧٩ )
কোন মানব সন্তানের পক্ষে এটা সম্ভব নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, জ্ঞান ও নুবুওয়াত দান করেন, অতঃপর সে লোকেদেরকে বলে, ‘তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমার বান্দা হয়ে যাও, বরং (সে বলবে), ‘তোমরা আল্লাহ্ওয়ালা হও; যেহেতু তোমরা কিতাব শিক্ষা দান কর এবং নিজেরাও পাঠ কর’।
وَلَا يَأْمُرَكُمْ اَنْ تَتَّخِذُوا الْمَلٰۤىِٕكَةَ وَالنَّبِيّٖنَ اَرْبَابًا ۗ اَيَأْمُرُكُمْ بِالْكُفْرِ بَعْدَ اِذْ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ ࣖ ( آل عمران: ٨٠ )
সে ব্যক্তি তোমাদেরকে বলবে না যে, তোমরা ফেরেশতাদেরকে এবং নাবীদেরকে মা’বূদরূপে গ্রহণ কর, তোমরা মুসলিম হওয়ার পরও কি সে তোমাদেরকে কুফরীর নির্দেশ দিতে পারে?