তারা বলল, ‘আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনলাম।
ফির‘আওন বলল, ‘আমি হুকুম দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনল? অবশ্যই এটা তোমাদের ষড়যন্ত্র যেটা নগরে বসে তোমরা পাকিয়েছ, এর বাসিন্দাদের বহিস্কৃত করার উদ্দেশে। এর পরিণাম শীঘ্রই টের পাবে।
তোমাদের হাত পা গুলোকে বিপরীত দিক থেকে অবশ্যই আমি কেটে দেব, তারপর তোমাদের সব্বাইকে শূলে চড়াব।
তারা বলল, আমরা অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের দিকে প্রত্যাবর্তন করব।
তুমি আমাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছ শুধু এ কারণে যে, আমাদের কাছে যখন আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শন এসেছে তখন আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য ও দৃঢ়তা অবলম্বনের গুণে অভিষিক্ত কর আর মুসলমান হিসেবে আমাদের মৃত্যু দান কর।
ফির‘আওন গোষ্ঠীর সরদারগণ বলল, ‘আপনি কি মূসা আর তার জাতির লোকেদেরকে যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করার জন্য ছেড়ে দেবেন আর দেবেন আপনাকে আর আপনার মা‘বূদদেরকে বর্জন করতে?’ সে বলল, ‘আমি তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করব আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখব, আমরা তাদের উপর অপ্রতিরোধ্য।’
মূসা তার সম্প্রদায়কে বলল, ‘তোমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা কর আর ধৈর্য অবলম্বন কর, যমীনের মালিক হলেন আল্লাহ, তিনি তাঁর বান্দাহদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছে করবেন তার উত্তরাধিকারী বানাবেন, কল্যাণময় পরিণাম হচ্ছে মুত্তাকীদের জন্য।’
তারা বলল, ‘আমাদের নিকট তোমার আসার পূর্বেও আমাদেরকে জ্বালাতন করা হয়েছে আর তোমার আসার পরেও।’ সে বলল, ‘সত্বর তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের দুশমনকে ধ্বংস করবেন আর তোমাদেরকে দেশে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন, অতঃপর তিনি দেখবেন তোমরা কেমন ‘আমাল কর।’
আমি ফির‘আওনী গোষ্ঠীকে দুর্ভিক্ষ আর ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দিয়ে পাকড়াও করেছিলাম যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।