فَلَمَّآ اَتٰىهَا نُوْدِيَ يٰمُوْسٰٓى ۙ ( طه: ١١ )
তারপর যখন যে আগুনের কাছে আসল, তাকে ডাক দেয়া হল, ‘হে মূসা!
اِنِّيْٓ اَنَا۠ رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَۚ اِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى ۗ ( طه: ١٢ )
বাস্তবিকই আমি তোমার প্রতিপালক, কাজেই তোমার জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় আছ।
وَاَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوْحٰى ( طه: ١٣ )
আমি তোমাকে বেছে নিয়েছি, কাজেই তুমি মনোযোগ দিয়ে শুনো যা তোমার প্রতি ওয়াহী করা হচ্ছে।
اِنَّنِيْٓ اَنَا اللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّآ اَنَا۠ فَاعْبُدْنِيْۙ وَاَقِمِ الصَّلٰوةَ لِذِكْرِيْ ( طه: ١٤ )
প্রকৃতই আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আমার ‘ইবাদাত কর, আর আমাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে নামায কায়িম কর।’
اِنَّ السَّاعَةَ اٰتِيَةٌ اَكَادُ اُخْفِيْهَا لِتُجْزٰى كُلُّ نَفْسٍۢ بِمَا تَسْعٰى ( طه: ١٥ )
কিয়ামাত আসবেই, আমি তা গোপন রাখতে চাই, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় চেষ্টা-সাধনা অনুপাতে ফল লাভ করতে পারে।
فَلَا يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لَّا يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوٰىهُ فَتَرْدٰى ( طه: ١٦ )
কাজেই ক্বিয়ামতে যে বিশ্বাস করে না এবং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তাত্থেকে কোনক্রমেই বিচ্যুত করতে না পারে, তাহলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।
وَمَا تِلْكَ بِيَمِيْنِكَ يٰمُوْسٰى ( طه: ١٧ )
‘হে মূসা! তোমার ডান হাতে ওটা কী?’
قَالَ هِيَ عَصَايَۚ اَتَوَكَّؤُا عَلَيْهَا وَاَهُشُّ بِهَا عَلٰى غَنَمِيْ وَلِيَ فِيْهَا مَاٰرِبُ اُخْرٰى ( طه: ١٨ )
সে বলল, ‘এটা আমার লাঠি, আমি ওতে ভর দেই, এর সাহায্যে আমি আমার মেষপালের জন্য গাছের পাতা ঝেড়ে দেই আর এতে আমার আরো অনেক কাজ হয়।’
قَالَ اَلْقِهَا يٰمُوْسٰى ( طه: ١٩ )
আল্লাহ বললেন, ‘হে মূসা! ওটা নিক্ষেপ কর।’
فَاَلْقٰىهَا فَاِذَا هِيَ حَيَّةٌ تَسْعٰى ( طه: ٢٠ )
তখন সে তা নিক্ষেপ করল, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটোছুটি করতে লাগল।