قَالُوْا فَأْتُوْا بِهٖ عَلٰٓى اَعْيُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُوْنَ ( الأنبياء: ٦١ )
তারা বলল, ‘তাকে নিয়ে এসো লোকজনের সামনে যাতে তারা সাক্ষী হতে পারে।’
قَالُوْٓا ءَاَنْتَ فَعَلْتَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَا يٰٓاِبْرٰهِيْمُ ۗ ( الأنبياء: ٦٢ )
তারা বলল, ‘ওহে ইবরাহীম! আমাদের উপাস্যদের সাথে তুমিই কি এমনটি করেছ?’
قَالَ بَلْ فَعَلَهٗ كَبِيْرُهُمْ هٰذَا فَسْـَٔلُوْهُمْ اِنْ كَانُوْا يَنْطِقُوْنَ ( الأنبياء: ٦٣ )
সে বলল, ‘না, তাদের এই বড়টাই এ সব করেছে, তারা যদি কথা বলতে পারে তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর।’
فَرَجَعُوْٓا اِلٰٓى اَنْفُسِهِمْ فَقَالُوْٓا اِنَّكُمْ اَنْتُمُ الظّٰلِمُوْنَ ۙ ( الأنبياء: ٦٤ )
তখন তারা বিষয়টি নিয়ে মনে মনে চিন্তা করল এবং পরস্পর বলাবলি করল- তোমরা নিজেরাই তো অন্যায়কারী।
ثُمَّ نُكِسُوْا عَلٰى رُءُوْسِهِمْۚ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هٰٓؤُلَاۤءِ يَنْطِقُوْنَ ( الأنبياء: ٦٥ )
তাদের মাথা হেঁট হয়ে গেল। (তখন তারা বলল) ‘তুমি তো জানই ওরা কথা বলতে পারে না।’
قَالَ اَفَتَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَنْفَعُكُمْ شَيْـًٔا وَّلَا يَضُرُّكُمْ ۗ ( الأنبياء: ٦٦ )
সে বলল, ‘তাহলে তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ‘ইবাদাত কর যা না পারে তোমাদের কোন উপকার করতে, আর না পারে তোমাদের ক্ষতি করতে?
اُفٍّ لَّكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗاَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ( الأنبياء: ٦٧ )
ধিক তোমাদের প্রতি আর আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ‘ইবাদাত কর তাদেরও প্রতি। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না।
قَالُوْا حَرِّقُوْهُ وَانْصُرُوْٓا اٰلِهَتَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ فٰعِلِيْنَ ( الأنبياء: ٦٨ )
তারা বলল, ‘তাকে পুড়িয়ে মার আর তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য কর- যদি তোমরা কিছু করতেই চাও।
قُلْنَا يَا نَارُ كُوْنِيْ بَرْدًا وَّسَلٰمًا عَلٰٓى اِبْرٰهِيْمَ ۙ ( الأنبياء: ٦٩ )
আমি বললাম, ‘হে অগ্নি! তুমি ইবরাহীমের জন্য শীতল ও শান্তিময় হয়ে যাও।’
وَاَرَادُوْا بِهٖ كَيْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَخْسَرِيْنَ ۚ ( الأنبياء: ٧٠ )
তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল কিন্তু আমি তাদেরকেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়লাম।