۞ قَالُوْٓا اَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْاَرْذَلُوْنَ ۗ ( الشعراء: ١١١ )
তারা বলল- ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস করব যখন তোমার অনুসরণ করছে একেবারে নিম্নশ্রেণীর লোকেরা।’
قَالَ وَمَا عِلْمِيْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ۚ ( الشعراء: ١١٢ )
নূহ বলল- ‘তারা কী করত সেটা আমার জানা নেই।
اِنْ حِسَابُهُمْ اِلَّا عَلٰى رَبِّيْ لَوْ تَشْعُرُوْنَ ۚ ( الشعراء: ١١٣ )
তাদের হিসাব নেয়া তো আমার প্রতিপালকের কাজ, যদি তোমরা বুঝতে!
وَمَآ اَنَا۠ بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِيْنَ ۚ ( الشعراء: ١١٤ )
মু’মিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয়।
اِنْ اَنَا۠ اِلَّا نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ ۗ ( الشعراء: ١١٥ )
আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।’
قَالُوْا لَىِٕنْ لَّمْ تَنْتَهِ يٰنُوْحُ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْمَرْجُوْمِيْنَۗ ( الشعراء: ١١٦ )
তারা বলল- ‘হে নূহ! তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।’
قَالَ رَبِّ اِنَّ قَوْمِيْ كَذَّبُوْنِۖ ( الشعراء: ١١٧ )
নূহ বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় আমাকে প্রত্যাখান করছে।
فَافْتَحْ بَيْنِيْ وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَّنَجِّنِيْ وَمَنْ مَّعِيَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ ( الشعراء: ١١٨ )
কাজেই তুমি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা ক’রে দাও, আর আমাকে ও আমার সঙ্গী মু’মিনদেরকে ক্ষমা কর।’
فَاَنْجَيْنٰهُ وَمَنْ مَّعَهٗ فِى الْفُلْكِ الْمَشْحُوْنِ ( الشعراء: ١١٩ )
অতঃপর আমি তাকে ও তার সঙ্গে যারা ছিল তাদেরকে বোঝাই নৌযানে রক্ষা করলাম।
ثُمَّ اَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبٰقِيْنَ ( الشعراء: ١٢٠ )
তারপর অবশিষ্ট সবাইকে ডুবিয়ে দিলাম।