যখন তাদেরকে বলা হয়- তোমরা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাবের এবং রসূলের দিকে এসো, তখন তুমি ঐ মুনাফিকদেরকে দেখবে, তারা তোমা হতে ঘৃণা ভরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
যখন তাদের কৃতকার্যের জন্য তাদের উপর বিপদ আপতিত হবে, তখন কী অবস্থা হবে? তখন তারা আল্লাহর নামে শপথ করতে করতে তোমার কাছে এসে বলবে, ‘আমরা সদ্ভাব ও সম্প্রীতি ছাড়া অন্য কিছু চাইনি।’
তারা সেই লোক, যাদের অন্তরস্থিত বিষয়ে আল্লাহ পরিজ্ঞাত, কাজেই তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর, তাদেরকে সদুপদেশ দান কর, আর তাদেরকে এমন কথা বল যা তাদের অন্তর স্পর্শ করে।
আমি রসূল এ উদ্দেশেই প্রেরণ করেছি, যেন আল্লাহর নির্দেশে তাঁর আনুগত্য করা হয়। যখন তারা নিজেদের উপর যুলম করেছিল, তখন যদি তোমার নিকট চলে আসত আর আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হত এবং রসূলও তাদের পক্ষে ক্ষমা চাইত, তাহলে তারা আল্লাহকে নিরতিশয় তাওবাহ কবূলকারী ও পরম দয়ালুরূপে পেত।
কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা মু’মিন হবে না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের বিবাদ-বিসম্বাদের মীমাংসার ভার তোমার উপর ন্যস্ত না করে, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যাপারে তাদের মনে কিছু মাত্র কুণ্ঠাবোধ না থাকে, আর তারা তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করে।
যদি আমি তাদের প্রতি ফরয করে দিতাম যে তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর, কিংবা নিজেদের দেশ থেকে বেরিয়ে যাও, তবে স্বল্পসংখ্যক লোক ছাড়া কেউ তা পালন করত না, যা করতে তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয় তা যদি তারা পালন করত, তবে তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর হত এবং দৃঢ় চিত্ততার কারণ হত।
সে অবস্থায় অবশ্যই আমি তাদেরকে আমার নিকট হতে মহাপুরস্কার দান করতাম।
এবং তাদেরকে অবশ্যই সঠিক পথ প্রদর্শন করতাম।
যারা আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করে, তারা নাবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং নেককার লোকদের সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি আল্লাহ নি‘মাত দান করেছেন, তারা কতই না উত্তম সঙ্গী!
এটা আল্লাহর পক্ষ হতে অনুগ্রহ, সর্বজ্ঞ হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।