يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافٍ مِّنْ ذَهَبٍ وَّاَكْوَابٍ ۚوَفِيْهَا مَا تَشْتَهِيْهِ الْاَنْفُسُ وَتَلَذُّ الْاَعْيُنُ ۚوَاَنْتُمْ فِيْهَا خٰلِدُوْنَۚ ( الزخرف: ٧١ )
তাদের কাছে চক্রাকারে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পান পাত্র। সেখানে তা-ই আছে মন যা চাইবে, আর চোখ যাতে তৃপ্ত হবে। তোমরা তাতে চিরকাল থাকবে।
وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِيْٓ اُوْرِثْتُمُوْهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ( الزخرف: ٧٢ )
এই হল জান্নাত তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করা হয়েছে, কারণ তোমরা (সৎ) ‘আমাল করেছিলে।
لَكُمْ فِيْهَا فَاكِهَةٌ كَثِيْرَةٌ مِّنْهَا تَأْكُلُوْنَ ( الزخرف: ٧٣ )
তোমাদের জন্য সেখানে আছে প্রচুর ফল যাত্থেকে তোমরা খাবে।
اِنَّ الْمُجْرِمِيْنَ فِيْ عَذَابِ جَهَنَّمَ خٰلِدُوْنَۖ ( الزخرف: ٧٤ )
(আর অন্যদিকে) অপরাধীরা জাহান্নামের ‘আযাবে চিরকাল থাকবে।
لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيْهِ مُبْلِسُوْنَ ۚ ( الزخرف: ٧٥ )
তাদের শাস্তি কমানো হবে না, আর তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
وَمَا ظَلَمْنٰهُمْ وَلٰكِنْ كَانُوْا هُمُ الظّٰلِمِيْنَ ( الزخرف: ٧٦ )
আমি তাদের উপর যুলম করিনি, বরং তারা নিজেরাই যালিম ছিল।
وَنَادَوْا يٰمٰلِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَۗ قَالَ اِنَّكُمْ مَّاكِثُوْنَ ( الزخرف: ٧٧ )
তারা চীৎকার ক’রে বলবে- হে ‘মালেক (জাহান্নামের দাড়োয়ান)! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের দফারফা ক’রে দেন। সে জওয়াব দিবে- ‘তোমরা (এ অবস্থাতেই পড়ে) থাকবে’।
لَقَدْ جِئْنٰكُمْ بِالْحَقِّ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كٰرِهُوْنَ ( الزخرف: ٧٨ )
আমি তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিলে সত্যকে অপছন্দকারী।
اَمْ اَبْرَمُوْٓا اَمْرًا فَاِنَّا مُبْرِمُوْنَۚ ( الزخرف: ٧٩ )
তারা কি (নিজেদের মধ্যে সলা-পরামর্শ করে কোন) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো আমিই নিয়ে থাকি (যাবতীয় ব্যাপারে আল্লাহ যা চান তাই শেষে ঘটে)।
اَمْ يَحْسَبُوْنَ اَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوٰىهُمْ ۗ بَلٰى وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُوْنَ ( الزخرف: ٨٠ )
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন কথা, গোপন পরামর্শ শুনি না? নিশ্চয়ই শুনি, আর আমার ফেরেশতারাহ তাদের কাছে থেকে লিখে নেয়।